খুলনা প্রতিনিধি:
কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার নির্দেশনা অনুযায়ী ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে গত
৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাত্র ৭.১০ ঘটিকায় উক্ত থানাধীন ডালমিল মোড় সংলগ্ন বি কে রায় রোড বাইলেন, হোল্ডিং নং-২৫/৩ এর নিজ বাড়ি হতে গ্রেফতারকৃত আসামী ১) শরিফুল ইসলাম সোহাগ(৩৩), সাং-২৫/৩, বি কে রায় রোড বাইলেন, সোনাডাঙ্গা মডেল থানা, খুলনা মহানরগরীর বসতবাড়ির পূর্ব পাশের রুমের খাটের নিচ হতে আসামীর নিজ হাতে বাহির করে দেওয়া মতে ১ টি রিভালবার এবং ৭ রাউন্ড গুলি, ১২ বোর এর ২ টি ভারী কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীর দেওয়া তথ্য ও স্বীকারোক্তি মোতাবেক সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন বি কে রায় রোড, শেখপাড়া, হক নাসিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিপরীতে অবস্থিত গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ শরিফুল ইসলাম সোহাগ(৩৩) এর মাকের্টের পূর্ব পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গোডাউন ঘরের ফাইল কেবিনেট হতে আসামীর নিজ হাতে বাহির করে দেওয়া মতে ১ টি পিস্তল, ৪ টি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২৩ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ২ টি ওয়ান শুটারগান এবং SLR এর ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতারকৃত অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী শরিফুল ইসলাম সোহাগ (৩৩) এর জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলায়। তিনি তার পরিবারের সাথে ছোটবেলা থেকে খুলনায় বসবাস করে আসছেন। খুলনার শেখপাড়ায় তার নিজের এলপিজি গ্যাসের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। মূলত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে তিনি দীর্ষদিন যাবত অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা করে আসছিলেন। গ্রেফতারকৃত আসামী অস্ত্র কোথা থেকে এনেছে কে কে জড়িত আছে তার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে অস্ত্র ব্যবসার মূল উৎস উদঘাটন এবং কোথায় সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিলো এবং তার সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা সে সংক্রান্তে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। গ্রেফতারকৃত আসামী শরিফুল ইসলাম সোহাগ (৩৩) এর বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।