অনলাইন ডেস্ক:
সম্প্রতি শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে বিবৃতি-সংক্রান্ত বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া। এবার জানা গেল, বরখাস্ত হয়েছেন তিনি।
শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের একথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আইনমন্ত্রী আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ট্রেনযোগে ঢাকা থেকে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে পৌঁছান। এ সময় সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকেরা জানাতে চান, এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না। জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলাচিঠি (বিবৃতি) পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় দেড় শতাধিক ব্যক্তি। তাদের মধ্যে শতাধিক নোবেলজয়ী রয়েছেন। এ বিষয়ে ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান। তিনি জানান, ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি, তার সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং এটি বিচারিক হয়রানি। শতাধিক নোবেলজয়ীদের ওই খোলা চিঠির বিপরীতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে, এমন দাবি করে এমরান আহম্মদ জানান, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কর্মরত সবাইকে এতে স্বাক্ষর করার জন্য নোটিশ করা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করবেন না তিনি।
এর পরদিন ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন ডিএজি । তিনি যদি সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন, তাহলে তার হয় পদত্যাগ করে কথা বলা উচিত, অথবা অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি নিয়ে কথা বলা উচিত। তিনি সেটি করেননি। তিনি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছিলেন, এক-দেড় মাসের মধ্যে হয়তো তাকে জেলে যেতে হতে পারে। মির্জা ফখরুলের এমন আশঙ্কার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আজ আখাউড়ায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জেলে যেতে হবে, এটা তিনি জানি না। যদি তিনি কোনো অপরাধ করে থাকেন, তাহলে জেলে যেতে হবে।