শুক্রবার, ১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১২.৬৪°সে
সর্বশেষ:
নির্বাচনে হারলে ট্রাম্প ফলাফল মানবেন না: বাইডেন পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় থেমে নেই রাশিয়া আইপিএলে ৫৭ ম্যাচে ১০০০ ছক্কা পঞ্চগড়ে শিশু কিশোরদের আঁকা চিত্র প্রদর্শনী কেন কাউকে পাত্তা দিতেন না বেপরোয়া মিল্টন সমাদ্দার, জানালেন ডিবিপ্রধান মার্কিন বোমায় ফিলিস্তিনিরা মারা গেছেন: বাইডেন ৪৬তম বিসিএসের প্রিলির ফল প্রকাশ রিমান্ড শেষে কারাগারে মিল্টন সমাদ্দার গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইসরাইলের চিত্রনায়ক সোহেল হত্যায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীরা গা বাঁচিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন: আদালত স্পিকারের কাছে নালিশ: মুজিবুল হকের উদ্দেশে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন শিক্ষক

আলেমগণকে ‘ধর্মব্যবসায়ী’ গালি, যে মন্তব্য করলেন আহমাদুল্লাহ

অনলাইন ডেস্ক:
শায়খ আহমাদুল্লাহ— বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব। সুবিদিত ও বিদগ্ধ আলোচক। লেখালেখি, গবেষণা-আলোচনা, সভা-সেমিনারে লেকচার, নানামুখি দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা, উন্মুক্ত ইসলামিক প্রোগ্রাম ও প্রশ্নোত্তরমূলক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ এবং টিভি অনুষ্ঠানে সময় দেওয়াসহ বহুমুখী সেবামূলক কাজে সপ্রতিভ গুণী ও স্বনামধন্য এই আলেমেদ্বীন।

দেশে-বিদেশে শিক্ষা, সেবা ও দাওয়াহ— ছড়িয়ে দিতে শায়খ আহমাদুল্লাহ প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’। এবার শায়খ আহমাদুল্লাহ মন্তব্য করেছেন ধর্মব্যবসায়ী শব্দের ব্যবহার নিয়ে। বুধবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দেন তিনি।
আহমাদুল্লাহ লিখেন, ‘এদেশের জনপরিচিত আলেমগণ—হোন তিনি আলোচক, খতীব, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ কিংবা লেখক—কাজের জায়গা ইসলাম হওয়ার কারণে এক শ্রেণির মানুষ তাদেরকে ধর্মব্যবসায়ী বলে গালি দেয়। আমরা বলছি না এদেশে কোনো ধর্মব্যবসায়ী নেই। কিন্তু সকল আলেমকে ধর্মব্যবসায়ী বলাটা দিনশেষে তাদের ইসলামবিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু নয়।

তিনি আরও লিখেন, প্রতিটি ধর্ম একটি ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকে। কে ধর্মব্যবসায়ী আর কে ধর্মব্যবাসায়ী নয়, তা ঠিক করে দেয়ার অধিকার তিনিই রাখেন, যিনি ওই ধর্ম সম্পর্কে বিশদ জানেন।

দুঃখজনক ব্যাপার হলো, ইসলাম সম্পর্কে আকাট মূর্খদের মুখ থেকেই এদেশের প্রাজ্ঞ আলেমগণকে ধর্মব্যবসায়ী গালি শুনতে হয়। আবার এরাই বিজ্ঞান বিষয়ে আনাড়িদের মুখে বিজ্ঞানবিষয়ক লেকচার শুনে হাসাহাসি করে।

এদের ভেতরে যে কতটা ঘৃণা, দ্বিচারিতা, উগ্রতা এবং সাম্প্রদায়িকতা বসবাস করে, বিভিন্ন ইস্যু এসে তা আমাদেরকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এদের অনেকে রাসুলের সা. মহানুভবতার গল্প বলে আবার রাসুলের বাণী ও আদর্শের প্রচার করলে সেটাকে বলে মোল্লাতন্ত্র।’

এই ধরনের মানুষের কপটতা দেখে আবু জেহেলদের কথা মনে পড়ে যায়- উল্লেখ করে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আবু জেহেল ও তার দোসররা পূর্বে গত হওয়া নবী-রাসুলদের মানত, কিন্তু তাদের সময়ের নবী অর্থাৎ মুহাম্মাদ সা.-কে মানত না।

তার কারণ, তারা বুঝেছিল, মুহাম্মাদ সা. এর দীন মানতে গেলে প্রবৃত্তি ও ব্যক্তিস্বার্থ বিসর্জন দিতে হয়। যেটা পূর্বের নবী রাসুলদেরকে ভালোবাসতে গেলে হয় না।

বর্তমান সময়ের তথাকথিত মুক্তমনাদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। মুহাম্মাদ সা. মানবিক মানুষ ছিলেন। দূর থেকে, খণ্ডিতভাবে এমন মহানুভব মানুষের প্রতি ভক্তি-ভালোবাসা রাখাই যায়।

কিন্তু তার ওয়ারিশদের অনুসরণ করা যায় না। কারণ, তাতে প্রবৃত্তির চাহিদা মতো জীবন পরিচালনা করা যায় না। ফলে তারা অতীতে গত হওয়া নবী মুহাম্মাদকে সা. মানলেও বর্তমানের নবীর ওয়ারিশদেরকে ধর্মব্যবসায়ী বলে গালি দিতে কুণ্ঠিত হয় না।’

চরিত্রগতভাবে আবু জেহেল এবং এইসব মানুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই মন্তব্য করে বিশিষ্ট এই ইসলামি আলোচক সতর্ক করে বলেন, তাদের দ্বিচারিতার ব্যাপারে দীনদার তরুণ সমাজেকে সজাগ থাকতে হবে এবং এদের বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

নির্বাচনে হারলে ট্রাম্প ফলাফল মানবেন না: বাইডেন
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় থেমে নেই রাশিয়া
আইপিএলে ৫৭ ম্যাচে ১০০০ ছক্কা
পঞ্চগড়ে শিশু কিশোরদের আঁকা চিত্র প্রদর্শনী
কেন কাউকে পাত্তা দিতেন না বেপরোয়া মিল্টন সমাদ্দার, জানালেন ডিবিপ্রধান
মার্কিন বোমায় ফিলিস্তিনিরা মারা গেছেন: বাইডেন

আরও খবর