সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১২.১৭°সে

যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় চীনা হ্যাকারদের হামলা!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেলিযোগাযোগ থেকে শুরু করে পরিবহন খাতের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত প্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারি করছে চীনের রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট হ্যাকারদের একটি দল।

টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফটসহ ‘ফাইভ আইস’ নামে পরিচিত পশ্চিমা ৫ দেশের গোয়েন্দা সংস্থা চীনা হ্যাকারদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছে বলে বিবিসি জানিয়েছে। সংস্থাটির অংশীদার ৫ দেশ হলো- অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।

যৌথ বিবৃতিতে পশ্চিমা সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি বলেছে, ‘বেসরকারি খাতের অংশীদারেরা মনে করছে এমন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মার্কিন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করে হ্যাকার দলটি। একই কৌশল ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন খাতে হামলা করতে পারে তারা।’

এই গুপ্তচরবৃত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাটি গুয়ামসহ দেশটির অধীনে থাকা বিভিন্ন দ্বীপ অঞ্চলকেও লক্ষ্যবস্তু বানানোর কথা নিজস্ব এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে মাইক্রোসফট। কোম্পানিটি আরও যোগ করে, এই আক্রমণ থামানো ‘চ্যালেঞ্জিং’ হতে পারে।

বিবৃতিতে মাইক্রোসফট জানায়, হ্যাকার দলটি ২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকে সক্রিয়। দলটি গুয়ামসহ যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন, পরিবহন, নির্মাণ, সমুদ্র, সরকার, তথ্য প্রযুক্তি এবং শিক্ষা খাতকে লক্ষ্য করে হামলা পরিচালনা করেছে।

মাইক্রোসফট আরও বলেছে, ‘ভবিষ্যতের সংকটে যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়ার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ অবকাঠামো’ ধ্বংস করাই ছিল হ্যাকার দলটির উদ্দেশ্য। এ বিষয়ে তারা ‘মোটামুটি নিশ্চিত’ বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।

চীন ও যুক্তরাষ্ট্র একে অপরের ওপর নিয়মিত গুপ্তচরবৃত্তির কার্যক্রম চালালেও বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি মার্কিন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোয় চীনের মাধ্যমে পরিচালিত অন্যতম বৃহৎ গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনা।

এই প্রসঙ্গে ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের মন্তব্য জানতে রয়টার্স যোগাযোগ করলে তাৎক্ষণিক সাড়া মেলেনি।

এই গুপ্তচরবৃত্তিতে কতগুলো মার্কিন সংস্থা আক্রান্ত হয়েছে, সেটি এখনও পরিষ্কার নয়। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ)’ বলেছে, কানাডা, নিউ জিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য’সহ নিজেদের বিভিন্ন অংশীদারের পাশাপাশি মার্কিন সংস্থা ‘ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন’ বিভিন্ন ত্রুটিপূর্ণ লঙ্ঘন শনাক্তে কাজ করছে।

কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সতর্ক করেছে, এমনকি তারা নিজেরাও এই হ্যাকিং কার্যক্রমের শিকার হতে পারে।

মাইক্রোসফটের বিশ্লেষকরা বলেন, ‘ভোল্ট টাইফুন’ নামে অভিহিত করা এই চীনা হ্যাকার দলের ওপর তাদের ‘তুলনামূলক আত্মবিশ্বাস’ রয়েছে। কারণ তারা এমন সক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে, যা ভবিষ্যতে সংকট চলাকালীন যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ অবকাঠামোয় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ, বাইডেনের কী ক্ষতি?
যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান
বিলুপ্ত হবে স্মার্টফোন, দাবি গবেষকদের
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গ্রেফতার ২২০০ ছাড়াল
যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলন, বাইডেন কেন চুপ?
৫ বছরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৪৫১ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

আরও খবর