বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২৪.৩৮°সে
সর্বশেষ:
যুক্তরাষ্ট্রে ২ বাংলাদেশী হত্যার আসামি গ্রেফতার,জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তদন্ত হবে: ডিবিপ্রধান সুনামগঞ্জে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান মে দিবস পালন মিল্টন সমাদ্দার গ্রেফতার বোমা হামলার হুমকি, দিল্লির ১০০ স্কুলে তুলকালাম! ফিলিস্তিনের ২০ শিক্ষার্থীকে ঢাবিতে ভর্তি করা হবে: উপাচার্য অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ইইউ মানিকগঞ্জে প্রার্থীর ওপর হামলা, প্রতিবাদে পালটাপালটি কর্মসূচি ৫ বছরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৪৫১ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা রূপপুর প্রকল্পে পরীক্ষামূলক নতুন বিদ্যুৎ লাইন চালু

হবিগঞ্জে সংঘর্ষ: বিএনপি ও পুলিশের পালটাপালটি বক্তব্য

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জে শনিবারের সংঘর্ষ নিয়ে বিএনপি ও পুলিশ একে অপরকে দোষারোপ করছে। বিএনপির দাবি এটি পরিকল্পিত হামলা। আর পুলিশ বলছে, বিএনপি থানায় আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল। বাধ্য হয়ে তারা কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে।

এদিকে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ বিএনপির ৩ নেতাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। আর গুরুতর আহত সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবকে পাঠানো হয়েছে ঢাকায়।

ওইদিনের ঘটনা সম্পর্কে বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায়বিষয়ক সম্পাদক জিকে গউছ বলেন, এটি পরিকল্পিত হামলা। পুলিশ শুরু থেকেই উসকানি দিয়েছে। শান্তিপূর্ণ মিছিলের শেষে তারা হঠাৎ আক্রমণ চালায়। গুলি করে নেতাকর্মীদের আহত করে। আমার বাসায় গুলি করেছে। এখন আবার আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা দিচ্ছে। এসব মিথ্যা মামলা দিয়ে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না।

তিনি বলেন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম আওয়াল ও যুবদল নেতা নূর উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে সিলেটে আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। আরেক যুবদল নেতা আমিন শাহের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

অন্যদিকে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান জানান, বিএনপি শুরুতে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিল। কিন্তু হঠাৎ তারা মারমুখী হয়ে ওঠে। মূলত তাদের উদ্দেশ্য ছিল থানায় আক্রমণ করা। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তারা সন্ত্রাসী এনেছিল। পুলিশ প্রথমে সহনশীল ছিল। এ কারণেই পুলিশ পিছু হটেছিল। কিন্তু তারা একের পর এক আক্রমণ করে চলছিল। কোনো উপায় না পেয়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। পরিস্থিতি শান্ত করতেই এই ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে শনিবার জেলা বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচিতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। শুরু থেকে কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু কর্মসূচি শেষে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। তারা হলেন- পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম আওয়াল, যুবদল নেতা আমিন শাহ, নূর উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা সৈয়দ আশরাফ আহমেদ, মনিরুজ্জামান, অলিউর রহমান অলি, সাইফুল রহমান বাবু, সাবের আহমেদ ও অনিক হাসান। গ্রেফতার আতঙ্কে আহত নেতাকর্মীরা এখন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তদন্ত হবে: ডিবিপ্রধান
সুনামগঞ্জে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান মে দিবস পালন
মিল্টন সমাদ্দার গ্রেফতার
ফিলিস্তিনের ২০ শিক্ষার্থীকে ঢাবিতে ভর্তি করা হবে: উপাচার্য
মানিকগঞ্জে প্রার্থীর ওপর হামলা, প্রতিবাদে পালটাপালটি কর্মসূচি

আরও খবর