বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২২.৬৩°সে
সর্বশেষ:
যুক্তরাষ্ট্রে ২ বাংলাদেশী হত্যার আসামি গ্রেফতার,জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তদন্ত হবে: ডিবিপ্রধান সুনামগঞ্জে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান মে দিবস পালন মিল্টন সমাদ্দার গ্রেফতার বোমা হামলার হুমকি, দিল্লির ১০০ স্কুলে তুলকালাম! ফিলিস্তিনের ২০ শিক্ষার্থীকে ঢাবিতে ভর্তি করা হবে: উপাচার্য অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ইইউ মানিকগঞ্জে প্রার্থীর ওপর হামলা, প্রতিবাদে পালটাপালটি কর্মসূচি ৫ বছরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৪৫১ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা রূপপুর প্রকল্পে পরীক্ষামূলক নতুন বিদ্যুৎ লাইন চালু

বাবা কারাগারে মা কবরে, অসহায় ৭ সন্তান

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে তালাক দেওয়া স্ত্রী গালিগালাজ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করেছে সাবেক স্বামী। ৭ সন্তানের জননী আকলিমা আক্তারকে হাত-পা কেটে হত্যা করে তার প্রথম স্বামী সুজন মিয়া। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এরপর আদালতের মাধ্যমে সুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয়েছে আকলিমাকে। ৯ মাসের সন্তানসহ ৭ সন্তান এখন অসহায়। তাদের ঘরে এক বেলার খাবারও নেই। রোববার বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সামনে আসে তাদের সংসারের করুণ চিত্র।

সাত সন্তানরা হলো- তাহমিনা আক্তার, তানজিনা আক্তার মমনিনা আক্তার, ছাবিনা আক্তার, সাহেদা আক্তার, আতাউর রহমান ও হাবিবুর রহমান।

রোববার বিকাল ৪টার দিকে চুনারুঘাট উপজেলার ছনখলা গ্রামে নিহত আকলিমার বাবার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ৭ সন্তানকে। ওই দম্পতির মেজো মেয়ে তানজিনা আক্তার জানান, তার বাবা মাদকাসক্ত। প্রায়ই নেশা করে বাড়ি ফিরে তাদের মাকে নির্যাতন করতেন। তানজিনা বলেন, ‘বাবা আমাদের ভরণপোষণ করেন না। মা-ই আমাদের একমাত্র ভরসা ছিলেন। আমার বাবা সেই মায়ের হাত-পা কেটে দিয়েছে। এখন আমরা কেমনে বাঁচুম’-এই বলে কান্নায় ভেঙে পড়ে তানজিনা। এ সময় তানজিনার কান্না দেখে আকলিমার আরও ৬ সন্তানকে বিলাপ করতে দেখা যায়।

মা-বাবাকে হারিয়ে ৭ সন্তান দিশেহারা।তাদের কোনো সম্পত্তি নেই। বড় মেয়ে তাহমিনা বলেন, রোববার দুপুরে খাবারের ব্যবস্থাও ছিল না। পরে তারা নানার বাড়ি ছনখলা চলে যান। এর মধ্যে বড় মেয়ে তাহমিনা আক্তারের বিয়ে হয়েছে। তিনি স্বামীর বাড়ি অবস্থান করলেও তেমন অবস্থা নেই।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ১৫ বছর পূর্বে গাজীপুর ইউনিয়নের সোনাচং গ্রামের ফজল মিয়ার ছেলে সুজন মিয়ার (৩৮) সঙ্গে একই ইউনিয়নের ছনখলা গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের মেয়ে আকলিমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে ৭ সন্তান জন্মগ্রহণ করে। কিন্তু পরবর্তীতে বনিবনা না হওয়ায় সম্প্রতি তাদের মধ্যে তালাক হয়। এরপর খেতামারা আশ্রয়ণে অবস্থান নেন আকলিমা।

শনিবার সন্ধ্যায় সুজনের সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয় তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আকলিমার। এ সময় আকলিমাকে বাড়িতে নেওয়ার জন্য সুজন তাকে টানাটানি করেন। কিন্তু আকলিমা বাড়িতে যেতে চাননি এবং এনিয়ে সুজনকে গালিগালাজ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুজন তার হাতে থাকা দা দিয়ে ঘটনাস্থলেই আকলিমাকে কুপিয়ে শরীর থেকে বাম হাত আলাদা করে ফেলেন। পরে দা দিয়ে কুপিয়ে একটি পা কেটে ফেলেন।গুরুতর আহত আকলিমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার।

এ ঘটনায় স্বামী সুমনের নামে চুনারুঘাট থানায় মামলা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তদন্ত হবে: ডিবিপ্রধান
সুনামগঞ্জে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান মে দিবস পালন
মিল্টন সমাদ্দার গ্রেফতার
ফিলিস্তিনের ২০ শিক্ষার্থীকে ঢাবিতে ভর্তি করা হবে: উপাচার্য
মানিকগঞ্জে প্রার্থীর ওপর হামলা, প্রতিবাদে পালটাপালটি কর্মসূচি

আরও খবর