বৃহস্পতিবার, ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২৩.১৩°সে
সর্বশেষ:
ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বামীর হাত পা বেঁধে মারধর-সিগারেটের ছ্যাঁকা, স্ত্রী গ্রেফতার বিব্রতকর ফেসবুক স্টোরি বন্ধ করবেন যেভাবে স্টোরি শেয়ারে নতুন ফিচার আনছে ইনস্টাগ্রাম চীনের হাসপাতালে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে ১০ জনের মৃত্যু সাড়ে ছয় মাস পর বিএনপি নেতা খায়রুল কবির কারামুক্ত কচুতে আঁচড় দিলে দুধ বের হয়, কাটলে হলুদ! ভোটারদের মধ্যে টাকা বিতরণকালে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আটক ১১ সুনামগঞ্জ পুলিশ অফিসে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ উদ্বোধন করলেন সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের আগে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হামাস, দিয়েছে যেসব শর্তে ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মালয়েশিয়া ছাড়তে বললেন মাহাথির

চাঁদাবাজি কারণে অযৌক্তিকভাবে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম : র‌্যাব

অনলাইন ডেস্ক:
ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখসহ পাঁচ থেকে ছয়টি স্থানে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা চাঁদা তোলা হয়। আর পণ্যবাহী ট্রাকে বিভিন্ন সংগঠন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নামে এ চাঁদাবাজির কারণে অযৌক্তিকভাবে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। রোববার দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

খন্দকার মঈন বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখ ও পাইকারী বাজার এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়ের সময় হাতেনাতে ৫১ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শনিবার ভোররাতে একযোগে রাজধানীর কাওরান বাজার, বাবুবাজার, গুলিস্তান, দেনিক বাংলা মোড়, ইত্তেফাক মোড়, টিটিপাড়া, কাজলা, গাবতলী ও ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে র‌্যাব। তাদের কাছ থেকে নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, একটি লেজার রশ্মির লাইট, সিটি করপোরেশনসহ ছয়টি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জ্যাকেট, দুটি অন্যান্য লাইট, চারটি আইডি কার্ড, ৪১টি মোবাইল ফোন এবং বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায়ের রশিদ উদ্ধার করা হয়েছে।

খন্দকার মঈন বলেন, গ্রেফতারকৃতরা তথাকথিত ইজারাদারদের নির্দেশে কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতি রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ওপর অবস্থান নেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্যবাহী যানবাহন রাজধানীতে প্রবেশের সময় তারা লেজার লাইট, লাঠি ও বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে গাড়ি থামিয়ে চালকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা চাঁদা আদায়ের রসিদও দেন। চালকরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা গাড়ি ভাঙচুর, চালক-হেলপারকে মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

তিনি বলেন, কখনো সিটি করপোরেশন, কখনো শ্রমিক সংগঠন, কখনো কল্যাণ সমিতি, কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নামে এই চাঁদা আদায় করা হয়।খন্দকার মঈন বলেন, একটি গ্রুপ চাঁদা উত্তোলন করে কথিত ইজারাদারদের কাছে জমা দেয়। তারা সিন্ডিকেটের মধ্যে টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয়। চাঁদা উত্তোলনকারীরা প্রতি রাতে মজুরি হিসাবে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পান। প্রতিটি স্পট থেকে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করা হয়।

খন্দকার মঈন বলেন, রমজান সামনে রেখে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত ওপরের লেভেলের কয়েকজনের নাম পেয়েছি, আমরা তা যাচাই-বাছাই করছি। তারা যে সংস্থারই হোক বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ হোক, এমনকি আমাদের কোনো সদস্য হলেও তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
বামীর হাত পা বেঁধে মারধর-সিগারেটের ছ্যাঁকা, স্ত্রী গ্রেফতার
বিব্রতকর ফেসবুক স্টোরি বন্ধ করবেন যেভাবে
চীনের হাসপাতালে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে ১০ জনের মৃত্যু
সাড়ে ছয় মাস পর বিএনপি নেতা খায়রুল কবির কারামুক্ত
কচুতে আঁচড় দিলে দুধ বের হয়, কাটলে হলুদ!

আরও খবর