বুধবার, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২২.৯৪°সে
সর্বশেষ:
সুনামগঞ্জ পুলিশ অফিসে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ উদ্বোধন করলেন সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের আগে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হামাস, দিয়েছে যেসব শর্তে ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মালয়েশিয়া ছাড়তে বললেন মাহাথির ফের রাফায় স্থল অভিযান ইসরাইলের, নেতানিয়াহুকে কঠোর হুশিয়ারি বাইডেনের নিজের গোপন কীর্তি ফাঁস করলেন কাজল যুক্তরাষ্ট্রে দমনপীড়নেও অনড় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভারতের লোকসভা নির্বাচন: তৃতীয় দফায় ভোট ৯৩ কেন্দ্রে ইসরাইলে গোলাবারুদের চালান থামাল যুক্তরাষ্ট্র শনিবার স্কুল খোলা রাখায় শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হলেন কারিনা ১৬ হাজার ছাত্রীকে বাইসাইকেল দেবে সরকার

শবে বরাতে রোজা রাখবেন যেভাবে

শবে বরাতে সারারাত ইবাদত করে পরদিন নফল রোজা রাখেন অনেকে। এই নফল রোজাটি হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত। এ বিষয়ে হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পনেরো শাবানের রাত (চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে তখন তোমরা তা ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং পরদিন রোজা রাখ। (ইবনে মাজা, হাদিস, ১৩৮৪)

এই বর্ণনাটির সনদ দুর্বল হলেও হাদিসের প্রথম অংশ—ইবাদতের বিষয়টি অন্যান্য হাদিস দ্বারা সমর্থিত। আর রোজার বিষয়টি শুধু এ বর্ণনায় রয়েছে। তবে কেউ যদি চায় এ মাসের ১৫ তারিখ রোজা রাখতে তাহলে সুযোগ রয়েছে। কেননা ১৫ তারিখ হলো আইয়ামে বিজের অন্তর্ভুক্ত। আইয়ামে বিজ অর্থাৎ প্রতি চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার বিষয়টিও সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তা ছাড়া শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখার কথা সহিহ হাদিসে এসেছে।

হজরত আবু যার রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা বলেন, হে আবু যার! যখন তুমি মাসের মধ্যে তিন দিন রোজা রাখবে; তবে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখবে।’(তিরমিজি, নাসাঈ, মিশকাত)এই রোজা সম্পর্কে আরও বর্ণিত হয়েছে যে, হজরত আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালাম আল্লাহর হুকুম অমান্য করে বেহেশতের নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল ভক্ষণ করার পর তাদের শরীর থেকে জান্নাতের পোশাক খুলে যায় এবং তাদের শরীরের রং কুৎসিত হয়ে যায়। অতঃপর হজরত আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালাম আল্লাহর হুকুমে চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখলে আবার তাদের শরীরের রং পূর্বের ন্যায় উজ্জ্বল হয়ে যায়।শবে বরাতের রোজা প্রসঙ্গে আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলি রহ. বলেন, ‘শাবানের ১৫ তারিখ রোজা রাখতে নিষেধ নেই। কেননা ১৫ তারিখ হলো আইয়ামে বিজের অন্তর্ভুক্ত। আর প্রত্যেক মাসের এই তারিখে রোজা রাখা তো মুস্তাহাব। এ ছাড়া রাসুল সা. বিশেষভাবে শাবানের রোজা রাখতে বলেছেন।’ (লাতাইফুল মাআরিফ, পৃষ্ঠা : ১৮৯)

তবে উত্তম হলো ১৫ তারিখের সঙ্গে আগে পরে এক দিন মিলিয়ে নেওয়া, অন্যথায় শুধু এ দিন রোজা রাখার ব্যাপারে যত্নবান হওয়া মাকরুহ। এমনটাই বলেছেন শায়খ ইবনে তাইমিয়া রহ.।

তাই কেউ যদি আইয়ামে বীজের তিনটি রোজা রাখে তাহলে তা একদিকে অন্যান্য মাসের স্বাভাবিক আমলের অন্তর্ভুক্ত হবে আবার একই সঙ্গে শবে বরাতের রোজা এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। সর্বোপরি রাসূলুল্লাহ সা. রমজান মাসের পর রজব ও শাবান মাসে বেশি নফল ইবাদত তথা নফল নামাজ ও নফল রোজা পালন করতেন; শাবান মাসে কখনো ১০টি নফল রোজা, কখনো ২০টি নফল রোজা, কখনো আরও বেশি রাখতেন। যেহেতু বিভিন্ন সহিহ হাদিসে শাবান মাসের রোজার সাধারণ ফজিলত এবং আইয়ামে বিজের রোজার ফজিলত উল্লেখিত হয়েছে- পাশাপাশি দূর্বল সনদে উপরোক্ত হাদিসটিও বিদ্যমান রয়েছে; তাই কেউ যদি এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে পনেরো শাবানের রোজা রাখেন- তাহলে তিনি সওয়াব পাবেন- ইনশাআল্লাহ।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

সুনামগঞ্জ পুলিশ অফিসে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ উদ্বোধন করলেন সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি
উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের আগে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধবিরতিতে রাজি হামাস, দিয়েছে যেসব শর্তে
ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মালয়েশিয়া ছাড়তে বললেন মাহাথির
ফের রাফায় স্থল অভিযান ইসরাইলের, নেতানিয়াহুকে কঠোর হুশিয়ারি বাইডেনের
নিজের গোপন কীর্তি ফাঁস করলেন কাজল

আরও খবর