সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১২.৭১°সে

গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু শুক্রবার

অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশ-ভারত দুদেশের অভিন্ন সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং জনগণের মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ়তর করার লক্ষ্য নিয়ে দুদেশের চার হাজারেরও বেশি সংস্কৃতি কর্মীর অংশগ্রহণে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব।

আগামী শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় উৎসবের দ্বাদশ আসরের উদ্বোধন করবেন নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।

বুধবার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে উৎসবের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন আহ্বায়ক কমিটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিটির সদস্য সচিব আখতারুজ্জামান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত দুদেশের অভিন্ন সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং জনগণের মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ়তর করার লক্ষ্য নিয়েই মূলত গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজিত হয়ে আসছে গত ১১ বছর।

উৎসব আয়োজনের লক্ষ্য নিয়ে আখতারুজ্জামান বলেন, মৌলবাদের উত্থান ঠেকাতে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে বীর যোদ্ধার মত বরাবরই সম্মুখ যোদ্ধা এ দেশের সংস্কৃতি কর্মীরা। যে কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে, সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধেও সংস্কৃতিকর্মীরা রাস্তায় নেমেছে, মানবিকতার পাশে থেকেছে অকুতোভয় সৈনিকের মতো। সবশেষে আমরা আবারও মেতে উঠি আমাদের শিল্প সৃষ্টির উন্মাদনায়, আমাদের নব নব সৃষ্টির উল্লাসে। সংস্কৃতির এ মহাশক্তিকে আরও একবার বিপুল জনগোষ্ঠীর সম্মুখে উপস্থাপনের লক্ষে আবারো আয়োজিত হচ্ছে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব।

গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবের ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হবে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন, পরিক্ষণ থিয়েটার হল, স্টুডিও থিয়েটার হল, সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্য মিলনায়তন এবং বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তন।

মঞ্চনাটকের পাশাপাশি থাকবে, নৃত্য, আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্যনাট্য এবং পথনাটক প্রদর্শনী। উৎসবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনার পাশাপাশি শিশু কিশোর সংগঠনগুলোর নানা পরিবেশনাও থাকবে। জাতীয় নাট্যশালার সামনে উৎসবের মুক্ত মঞ্চ নির্মিত হয়েছে৷ ওই মঞ্চে প্রতিদিন বিকেলে গান, কবিতা ও নৃত্যের আয়োজন থাকবে।

অনলাইনে মঞ্চনাটকের অগ্রিম টিকিট www.bdeticket.com-এ পাওয়া যাবে। এছাড়া টিকিট প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে হল কাউন্টারে পাওয়া যাবে।

গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছ জানান, উৎসবের প্রাথমিক বাজেট ৩৬ লাখ টাকা, যার মধ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় দিচ্ছে ২০ লাখ টাকা ও সাউথইস্ট ব্যাংক দিচ্ছে ৫ লাখ টাকা।

৬ অক্টোবর উদ্বোধনী সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে মঞ্চস্থ হবে থিয়েটার প্রযোজনা ‘মেরাজ ফকিরের মা’, পরীক্ষণ থিয়েটার হলে বাতিঘর প্রযোজিত নাটক ‘ভগবান পালিয়ে গেছে’, স্টুডিও থিয়েটার হলে একতা নাট্যগোষ্ঠীর ‘১৯৭১’ নাটকটি মঞ্চস্থ হবে।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

বাস কন্ডাক্টর থেকে জনপ্রিয় অভিনেতা রজনীকান্ত
আরব আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান!
ভারতে কী করছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ
ব্রাজিলে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৮
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে রাস্তায় নামলেন হাজারো ইসরাইলি
সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

আরও খবর