কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামে সব নদ-নদীর পানি কিছুটা কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় এক লাখ মানুষ। চার-পাঁচ দিন ধরে এসব গ্রামের মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। জেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন এ রকম থাকবে বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড।
শনিবার দুধকুমার নদীর পানি ৩৬ সে.মিটার ও ধরলা নদীর পানি ১৯ সে.মিটার বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। কমেছে তিস্তা ও ব্রহ্মপূত্র নদের পানি। বন্যায় জেলার ৪৫টি ইউনিয়নের ১৮৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন স্থায়ী হবে। এরপর পানি নেমে যাবে। দুধকুমার এবং ধরলা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম বন্যা নিয়ন্ত্রণ কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত আমিনুল ইসলাম জানান, জেলার ৭৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪৫টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে ১৮৫টি গ্রামের ১৬১ বর্গকিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এক হাজার ৬৬০টি আর পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা ১৪ হাজার ৬০টি। ফলে মোট ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৬২ হাজার ৮৮০ জন। নদী ভাঙনে ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার্ত মানুষের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩৬১টি আশ্রয় কেন্দ্র।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, ইতোমধ্যে ৬৮ টন চাল উপজেলাগুলোতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমাদের কাছে ৫৮২ টন চাল, ১০ লাখ টাকা ও ১৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে। আমরা বন্যার্তদের তালিকা করছি, তালিকা মোতাবেক উপ-বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।