শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৪.২৪°সে
সর্বশেষ:
হিটলারের সেনা সদরদপ্তরে মিলল হাত-পা ছাড়া ৫ কঙ্কাল ‘খামারি অ্যাপস ব্যবহারে কমবে খরচ, বাড়বে ফসলের উৎপাদন’ বিলুপ্ত হবে স্মার্টফোন, দাবি গবেষকদের যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গ্রেফতার ২২০০ ছাড়াল লংগদু প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি সাংবাদিক ওমর ফারুক মুছা আর নেই বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ‍উপলক্ষ্যে কুমিল্লার ৭ সাংবাদিককে ফুলের মালা পড়িয়ে সম্মননা প্রদান কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আদালতকে যা যা বললেন মিল্টন সমাদ্দার নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি রাশেদা যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলন, বাইডেন কেন চুপ? যুক্তরাষ্ট্রে ২ বাংলাদেশী হত্যার আসামি গ্রেফতার,জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তদন্ত হবে: ডিবিপ্রধান

আরব আমিরাতে আগুনে ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক:
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাতে একটি সোফা ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগে ঘুমন্ত অবস্থায় দগ্ধ হয়ে তিন প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের সবার বাড়ী নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায়।

মঙ্গলবার (৩০ মে) তিন জনের পরিবার তাদের মৃত্যুর খবর পায়। এদিন ভোর ৪টার দিকে (স্থানীয় সময়) বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে নিহতদের পরিবার জানিয়েছে।

নিহতরা হলেন, সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের পলতি তারাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে মো. ইউসুফ (৪৩), একই এলাকার বড় বাড়ির মীর আহাম্মদের ছেলে তারেক হোসেন বাদল (৪০) ও মাতইন আবদুল ওয়াহাব মিয়ার ছেলে মো. রাসেল (৩০)।

আমিরাতে অবস্থানরত নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরা দূতাবাসের মাধ্যমে লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।

নিহতদের পরিবার জানায়, মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে তিন জনের পরিবার অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনা জানতে পারে। এরপর তিন পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীসহ শত শত মানুষ ছুটে আসেন নিহত তিন জনের বাড়িতে।

নিহত ইউসুফের ছোট ভাই গোলাম রসুল জানান, ২৫ বছর আগে তার বড় ভাই আরব আমিরাতে যান । এক বছর আগে তিনি শারজাহ সামাইয়া এলাকায় ধার দেনা করে সোফা ফ্যাক্টরির ব্যবসা শুরু করেন। এতে এলাকার কয়েকজনকে তার প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যান। ঘটনার সময় তারা তিন জন ঘুমিয়ে ছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে ফ্যাক্টরি পুড়ে যায় এবং তারা দগ্ধ হয়ে মারা যান। পাশে তার অপর ভাই আনোয়ার হোসেনের ফ্যাক্টরিও পুড়ে যায়। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। জুলাই মাসে তার দেশে আসার কথা ছিলো। মিলন (২২) ও সিফাত (১৩) নামে তার দুটি সন্তান আছে।

নিহত বাদলের বাবা মীর আহাম্মদ জানান, ৮ মাস আগে ইউসুফের ফ্যাক্টরিতে কাজ নেয় বাদল। বাদলের দুই ভাই প্রতিবন্ধী। তার সাজ্জাদ, জাহিদ ও আবীর নামে তিন ছেলে লেখা পড়া করছে। ছেলের শোকে বাবা মীর আহাম্মদ ও মা পেয়ারা বেগম বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন।

নিহত রাসেলের মা শরীফা বেগম ছেলে হারিয়ে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন। স্বামী রাসেলকে হারিয়ে স্ত্রী পান্না বিলাপ করছেন।

নিহত রাসেলের চাচা সাহাব উদ্দিন জানান, গত বছরের এপ্রিল মাসে ধার-দেনা ও কিস্তি নিয়ে রাসেল ইউসুফের সোফা ফ্যাক্টরিতে যায়। নিজের কোনো ভূমি বা বসতঘরও নেই রাসেলের। তার মা, স্ত্রী ও এক সন্তান চাচা আবদুস ছাত্তারের ঘরে থাকেন। কিস্তির টাকাও পরিশোধ করতে পারেননি রাসেল। রাসেলের কন্যা সন্তান প্রতিবন্ধী।

ডমুরুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন জানান, আমিরাতে অগ্নিকাণ্ডে তার ইউনিয়নের তিন প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি এলাকার বাইরে থাকায় প্রতিনিধির মাধ্যমে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের খবর রাখছেন।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগুনে সেনবাগের তিন প্রবাসী নিহত হওয়ার খবর শুনিছি। তবে এ বিষয়ে নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরা থানায় কিছু জানায়নি।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহাবুর রহমান বলেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ খবর জানতে পারলাম। নিহতের পরিবারে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

হিটলারের সেনা সদরদপ্তরে মিলল হাত-পা ছাড়া ৫ কঙ্কাল
বিলুপ্ত হবে স্মার্টফোন, দাবি গবেষকদের
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গ্রেফতার ২২০০ ছাড়াল
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ‍উপলক্ষ্যে কুমিল্লার ৭ সাংবাদিককে ফুলের মালা পড়িয়ে সম্মননা প্রদান
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আদালতকে যা যা বললেন মিল্টন সমাদ্দার
নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি রাশেদা

আরও খবর