অনলাইন ডেস্ক:
রেসভেরাট্রল এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ লাল আঙুর। অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায় এসব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
ভিটামিন সি এবং কে এর সমৃদ্ধ উৎস লাল আঙুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হাড় ভালো রাখে। এতে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে এবং উচ্চমাত্রার ফাইবার হজমে সহায়তা করে। তাছাড়া লাল আঙুর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্ট ভালো রাখে। এমনই বিভিন্ন কারণে লাল আঙুর অন্যান্য আঙুরকে ছাড়িয়ে পুষ্টিগুণের দিক থেকে এগিয়ে আছে অনেকটাই।
লাল আঙুরে থাকা শক্তিশালী যৌগ অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিক্যালগুলোকে নিরপেক্ষ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে হৃদরোগ এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যানসারের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমে। এছাড়া লাল আঙুর বিভিন্ন ভিটামিনে পরিপূর্ণ। বিশেষ করে ভিটামিন সি এবং কে এর চমৎকার উৎস এটি।
লাল আঙুরে পটাসিয়ামের মতো উপকারী খনিজ উপাদানও রয়েছে যা রক্তচাপের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং পেশী ও স্নায়ুর কার্যকারিতা বাড়ায়।
লাল আঙুরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলোর মধ্যে একটি হলো কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের উপর তাদের প্রভাব। লাল আঙুরের রেসভেরাট্রল এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এতে হার্ট ভালো থাকে ও ধমনীর ক্ষতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। লাল আঙুরে সবুজ আঙুরের তুলনায় বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমে সাহায্য করে এবং অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে।
লাল আঙুর ম্যাঙ্গানিজের একটি সমৃদ্ধ উৎস। উপাদানটি হাড়ের বিকাশে সাহায্য করে এবং হজমে সহায়তা করে।
লাল আঙুরে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যা অনেক ধরণের রোগ কমাতে সাহায্য করে। এটি খেলে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে ও অনেক ধরনের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।