শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৯.৩৩°সে
সর্বশেষ:
নিউজার্সিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফাবিহা কৃতিত্বের সহিত নার্সিং গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন সুপ্রিম কোর্টে শুনানিকালে আইনজীবীদের কালো গাউন পড়তে হবে সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী কংগ্রেসম্যানদের সই জালকারী বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমান সরকার নাগরিক সুবিধা সম্পন্ন টেকসই নগরায়নে বদ্ধপরিকর : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী টেক্সাসে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ জনে দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে : আইজিপি আফগানিস্তানে বন্দুকধারীদের হামলায় তিন স্পেনীয়সহ নিহত ৪ ফ্রান্সে ইহুদি উপাসনালয়ে আগুন, অভিযুক্তকে গুলি করে হত্যা ফ্রান্সে ইহুদি উপাসনালয়ে আগুন, অভিযুক্তকে গুলি করে হত্যা রাবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীকে শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যা হুমকির অভিযোগ ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

বছরে ২৫ কোটি টাকার সবজি চারা উৎপাদন

যশোর প্রতিনিধি:
দেশের চাহিদার সিংহভাগ সবজি সরবরাহ করা হয় যশোর থেকে। এ অঞ্চলকে সবজির জোনও বলা হয়ে থাকে। সেই সবজি উৎপাদনের অন্যতম নিয়ামক চারা। সবজির চারা উৎপাদন ও বিপণন করেই বছরে প্রায় ২৫ কোটি টাকা আয় করছেন যশোর সদর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের চাষিরা। এ জেলার চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের জেলায়ও সরবরাহ করা হচ্ছে সবজি চারা। মানসম্মত সবজি চারা পাওয়ায় বিভিন্ন প্রান্তের চাষিরা ছুটে আসেন এখানে। সবজি উৎপাদনে যেমন সহায়ক ভূমিকা রাখছে, তেমনি অর্থনৈতিকভাবেও সাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা।

যশোর সদর উপজেলার আবদুলপুর গ্রামে সাত হেক্টর জমিতে সবজির চারা উৎপাদন করা হয়। দেড় শতাধিক কৃষক বীজতলায় চারা উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। প্রতি বছর বৈশাখ থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত চলে বীজতলা চারা উৎপাদনের হিড়িক। বিশেষ ব্যবস্থায় বীজতলা প্রস্তুত করে বাঁধাকপি ও ফুলকপি, টমেটো, বেগুন, মরিচের বীজ বপন করেন কৃষকরা। এরপর ওই বীজ অঙ্কুরোদগমের মাধ্যমে চারা গজালে তা পরিচর্যা করে এক মাস বয়সে তুলে অন্য কৃষকদের কাছে বিক্রি করেন। বর্তমানে বাজারে ভালো মানের প্রতি হাজার চারা ৮শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। যশোরের ঝিকরগাছা, চৌগাছা, মণিরামপুর, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর, আলমডাঙ্গা, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, নড়াইল, লোহাগড়া, সাতক্ষীরা জেলার কৃষক ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা আবদুলপুর গ্রামের সবজি চারা কিনতে আসেন। বীজতলা পরিচর্যা ও বিপণনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত আছেন আরও ৪ শতাধিক পরিবার। তাদেরও কর্মসংস্থান হয়েছে।

আবদুলপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, দেড় বিঘা জমিতে বাঁধাকপি ও ফুলকপির চারা উৎপাদন করেছি। এই জমিতে ৬ মাসে প্রায় ১৫ লাখ চারা উৎপাদন করেছি। যার বাজারমূল্য ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। দাম বেশি পাওয়ায় লাভবান হয়েছি। এখনো মৌসুম চলমান রয়েছে। আশা করছি আরও লাভ হবে।

আবদুলপুর গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, ২৫ বছর ধরে সবজির চারা তৈরি করছি। উন্নতমানের বীজ থেকে চারা তৈরি করি। আশপাশের জেলার কৃষকরাও আমাদের কাছে চারা কিনতে আসেন।

বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর গ্রামের কৃষক শংকর মণ্ডল বলেন, ১৮ বছর ধরে আবদুল গ্রামে উৎপাদিত সবজির চারা কিনি। এখানকার কৃষকদের উৎপাদিত চারা কখনো ভেজাল পাইনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের অতিরিক্ত উপপরিচালক প্রতাপ মণ্ডল বলেন, যশোর জেলা সবজি উৎপাদনের ঊর্বর ক্ষেত্র। এখানে রবি মৌসুমে ২০ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়। এই সবজি উৎপাদনে ক্ষেত্রে চারা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। আবদুলপুর গ্রামে সাড়ে সাত হেক্টর জমিতে সবজির চারা উৎপাদন হচ্ছে। এখানকার চাষিরা বছরে অন্তত ৬ বার চারা উৎপাদন করেন। এই চারা বিক্রিতে প্রায় ২৫ কোটি টাকা আয় করেন কৃষকরা। দেড় শতাধিক কৃষক সরাসরি সবজি চারা উৎপাদনে জড়িত। কৃষি বিভাগ সব ধরনের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করে আসছে। চারা বিপণনের বাজার তৈরিতেও সহায়তা করেছে কৃষি বিভাগ।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

সুপ্রিম কোর্টে শুনানিকালে আইনজীবীদের কালো গাউন পড়তে হবে
সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
কংগ্রেসম্যানদের সই জালকারী বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বর্তমান সরকার নাগরিক সুবিধা সম্পন্ন টেকসই নগরায়নে বদ্ধপরিকর : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে : আইজিপি
কুরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ পশু: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

আরও খবর