রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৫.৪৫°সে
সর্বশেষ:
শান্তি প্রচেষ্টা ধ্বংসের চেষ্টা করছেন বাইডেনের কর্মকর্তারা জার্মানিতে ‘ক্রিসমাস মার্কেটে’ গাড়ি হামলা, মৃত ৪, আহত ২০০ ট্রাম্প ‘আবর্জনা’ ফেলার বদলে মন্ত্রিসভায় নিচ্ছেন বিল পাস করে অবশেষে ‘শাটডাউন’ এড়াল যুক্তরাষ্ট্র গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াতের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত-১৪ রাখাইনে গুরুত্বপূর্ণ সেনা দপ্তর দখল করলো আরাকান আর্মি আমরা আল্লাহর ওপরে ভরসা করি, হাসিনার ভরসা ভারত: দুলু ১৯ নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ১৯ নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঢাকায় রাহাত ফতেহ আলী খান, মঞ্চ মাতাবেন রাতে পলাশবাড়ীতে ৫ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধস, নিহত ২

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি।। কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে

সম্পাদকীয়
বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় দুর্নীতি-অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার যে ব্যাপকভাবে জেঁকে বসেছে, এ খবর বেশ পুরোনো। বস্তুত শিক্ষা বোর্ড ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত বেসরকারি স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি (এসএমসি) ও গভর্নিং বডি (জিবি) পরিচালনার বিধিমালায় সভাপতিসহ পরিচালনা পর্ষদকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়ায় তারা কোনো কিছুর তোয়াক্কা করেন না। জানা যায়, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষক-কর্মচারীদের দুর্নীতিবাজ অংশ মিলে তৈরি করে সিন্ডিকেট।

দুর্নীতি নির্বিঘ্ন করতে এ অপরাধীরা প্রথমেই প্রতিবাদী শিক্ষক-কর্মচারীদের নিপীড়ন শুরু করে; কাউকে বরখাস্ত, কাউকে শোকজ করে বা বেতন বন্ধ করে দেয়। এছাড়া বেয়াদব শিক্ষক-কর্মচারীদের লেলিয়ে দেওয়া হয় সৎ ও গুণী শিক্ষক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি আর লুটপাটের অভিযোগ তদন্তে কাজ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষায়িত সংস্থা পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)।

এ সংস্থার পরিচালকের মতে, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাবেই এ খাতের অপরাধীরা বেপেরায়া হয়ে ওঠে। জানা যায়, আত্মসাৎ করা অর্থ ফেরত দেওয়ারও নজির নেই। আর পর্ষদ পক্ষে থাকলে অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষককে ন্যূনতম বেকায়দায়ও পড়তে হয় না। এক্ষেত্রে অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হচ্ছে কমিটি ভেঙে দেওয়া। মূলত এসবেরই সুযোগ নিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

আমরা মনে করি, এ খাতে সব দুর্নীতিবাজকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা দরকার। গত কয়েক বছরে ডিআইএ রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি খুঁজে বের করেছে। এছাড়া তদন্ত শেষে প্রতিবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। তদন্তে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, নিয়োগ ও ভর্তি-বাণিজ্য, টিউশন ও অন্যান্য ফি, খাতা-কলম-কাগজ এবং স্কুল ড্রেস-ডায়েরি প্রভৃতি বিক্রি থেকে পাওয়া আয়ের একটি অংশ হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য বের হয়েছে। মানহীন গ্রন্থ পাঠ্যভুক্তি করে এর বিনিময়ে প্রকাশকদের কাছ থেকে কমিশন আদায়ের তথ্যও বেরিয়ে এসেছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির মধ্যে আরও রয়েছে, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা চালুর পর জাল সনদে চাকরি প্রদান ও এমপিওভুক্তি। এছাড়া আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির কার্যক্রম নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ। প্রতিবেদনের একটি অংশে স্কুল-কলেজে অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঘুস বাণিজ্যের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, অর্থের একটি অংশ দিতে হয় পরিচালনা কমিটিকে। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ জোরালো পদক্ষেপ নেবে, এটাই প্রত্যাশা।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

এ্যাসাইলাম আবেদনে অপব্যবহারের কারণেই ‘ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তি’?
ইসরাইল কি আরও হামলার পরিকল্পনা করছে?
বেঙ্গল টাইমস এবং ভয়েজ অব নিউজার্সি পত্রিকার পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদ-উল ফিতরের শুভেচ্ছা
ডলার লেনদেনে অনিয়ম: শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে
আলুর হিমাগার-মজুতদারদের কারসাজি বন্ধ করতে হবে
জাতীয় সংসদ নির্বাচন

আরও খবর