জমির হোসেন, ইতালি থেকে
ইতালিতে ই-পাসপোর্ট চালু করতে দাবি জানিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে তারা এ দাবি জানিয়ে আসছেন।
বিষয়টি ইতোমধ্যে অবগত হয়েছে দূতাবাসও। যেহেতু এমআরপি দিয়েই ডকুমেন্টারি সব কাজ হচ্ছে, সেহেতু খুব শিগগির এটি চালুর সম্ভাবনা দেখছে না দূতাবাস।
যদিও ই-পাসপোর্ট চালু করা নিয়ে প্রতিদিনই প্রবাসী বাংলাদেশিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি জানাচ্ছে রোম বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে।
এ বিষয়ে আখন শিপন নামে এক বাংলাদেশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন— ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু করুন। নতুবা আমরা আবারও আন্দোলনের কর্মসূচি হাতে নেব।
এমডি সিয়াম খান নামে এক বাংলাদেশি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে ই-পাসপোর্ট চালু করেন।
এ প্রসঙ্গে, যুগান্তর ইতালি প্রতিনিধির এক প্রশ্নের জবাবে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান বলেন, দূতাবাসে বর্তমানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) সেবা নিয়মিত প্রদান করা হচ্ছে। যেসব প্রবাসী বাংলাদেশির এমআরপি রয়েছে তারা এটি সহজেই রি-ইস্যু করতে পারছেন। এমনকি ইতালিতে জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশি শিশুদের ক্ষেত্রেও নতুন এমআরপি প্রদান করা হয়।
তিনি বলেন, একটি এমআরপি মেয়াদ থাকে পাঁচ বছর। ফলে যারা বর্তমানে এমআরপি পাচ্ছেন, তারা এ পাঁচ বছর নিশ্চিন্তে এ পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারবেন। তাই এখনই এটিকে ই-পাসপোর্টে কনভার্সনের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সব পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে নতুন পাসপোর্ট করে যারা ইতালিতে এসেছেন অথবা যেসব প্রবাসী বাংলাদেশি বেড়াতে গিয়ে সেখানে আগের পাসপোর্ট রি-ইস্যু করে ইতালিতে এসেছেন তারা প্রায় সবাই ই-পাসপোর্ট পেয়েছেন।
ই-পাসপোর্টের মেয়াদ ৫-১০ বছর। ফলে আগামী ৫-১০ বছর তাদের দূতাবাসে এসে পাসপোর্ট রি-ইস্যুর প্রয়োজন পড়বে না।
ইতালিতে ই-পাসপোর্টের চাহিদা রয়েছে কেবল তাদের যারা ই-পাসপোর্ট নিয়ে ইতালিতে এসেছেন। কিন্তু যাদের ই-পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলেছেন তাদের জন্য আপাদত সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, বিদেশের মিশনগুলোতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম ধাপে ধাপে চালু করা হচ্ছে। ইউরোপের কয়েকটি দেশ যেমন- জার্মানি, গ্রিস ও অস্ট্রিয়াতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চলছে।