রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌ-পথে ৪০ বছরের পুরোনো ফেরি দিয়ে চলে যানবাহন পারাপার। গত ৩ বছরে ২টি ফেরিডুবির ঘটনায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে আছেন।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম-বাণিজ্য) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, ৪০ বছরের পুরোনো ফেরি হলেও মাঝে-মধ্যেই বিআইডব্লিউটিসির চিফ ইঞ্জিনিয়ার এসে পর্যেবক্ষণ করেন। কোনোপ্রকার সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক সমাধান করা হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) সূত্রে জানা যায়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-পথে মোট ২০টি ফেরি চলাচল করে। এর মধ্যে ৬টি ফেরি ইউটিলিটি, ২টি ফেরি কে টাইপের ও ১২টি রো রো ফেরি।
এর আগে, গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) পাটুরিয়া ঘাটের কাছে এসে ডুবে যাওয়া ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধার বয়স ছিল ২০ ঊর্ধ্ব। এ ছাড়া ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবরে পাটুরিয়া ঘাটের কাছে এসে কাত হয়ে ডুবে যাওয়া রো রো ফেরি আমানত শাহর বয়স ছিল ৪০ ঊর্ধ্ব। এর মধ্যে এই নৌ-পথে চলা রো রো ফেরি রুহুল আমিন এর বয়স প্রায় ৪৫ বছর। আর অন্য ফেরিগুলো একেকটার বয়স ১২ ত্থেকে শুরু করে ৩০ বছর। প্রতিটা রো রো ফেরি দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০, ইউটিলিটি ফেরি ১৫০ থেকে ২০০, কে টাইপের ফেরি ২০০ থেকে ২৫০টি ছোট-বড় যানবাহন পারাপার করে।
মেয়াদ উত্তীর্ণ ফেরি দিয়ে যান পারাপার কেন হয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ বলে কোনো বিষয় নেই। ফেরির বয়স বেশি হলেও প্রতিনিয়ত কোনো সমস্যা হলেই তা সমাধান করে চালানো হয়। তিনি আরো বলেন, ৮ থেকে ১০ বছরের ফেরিগুলোও যেমন মাঝে-মধ্যেই সমস্যা হয় তেমনি ৪০ বছরের ফেরিগুলোরোও তেমন সমস্যা হয়। ফেরির সমস্যা হলেই বিআইডব্লিউটিসির চিফ ইঞ্জিনিয়ার এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন ও সমস্যার সমাধান করে থাকেন।