শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৫.৩৯°সে
সর্বশেষ:
ইতালিতে ১০৯ মাফিয়া সদস্য আটক কুরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ পশু: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ২৬ মে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি শুরু ‘লং ড্রাইভে যাওয়ার প্রস্তাব’, জয়কে একহাত নিলেন মিষ্টি জান্নাত গাজা ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের আরেক কর্মকর্তার পদত্যাগ হজ যাত্রী নিয়ে উড়াল দিতেই বিমানের ইঞ্জিনে আগুন রাষ্ট্রীয় সফরে চীন পৌঁছেছেন পুতিন গাজীপুরে আগুনে পুড়ল ৩ কলোনির শতাধিক বসতঘর-দোকান গাজায় হামাসের হামলায় ৫ ইসরাইলি সেনা নিহত সৌদি আরব গেছেন প্রায় ২২ হাজার,এখনো ভিসা হয়নি ৬ হাজার হজযাত্রীর গুলিবিদ্ধ হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদ্মায় পানি শুকিয়ে ধু-ধু বালুচর, মহানন্দার বুকে চলছে চাষাবাদ

সহিংসতায় রণক্ষেত্র ফ্রান্স, শান্তির ডাক এমবাপ্পের

বাসস
ফ্রান্সে চলমান সহিংসতা বন্ধে এবার শান্তির ডাক দিয়েছেন ফুটবল তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। গত মঙ্গলবার দেশটিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় ১৭ বছর বয়সী নাহেল এম নামের এক কিশোর। এরপর থেকেই পুরো ফ্রান্স জুড়ে সহিংসতা আরও দানা বাঁধে।

খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এমবাপ্পে লিখেছেন, ‘সহিংসতা কোনো সমাধান হতে পারে না।’ এ সময় তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও লিখেছেন, ‘ফ্রান্সের সব মানুষের মতো আমরাও কিশোর নাহেলের মৃত্যুতে স্তব্ধ। প্রথমত তার পরিবারের জন্য আমাদের সমবেদনা। অবশ্যই এ ধরনের অগ্রহণযোগ্য মৃত্যুতে আমরা সংবেদশীল না হয়ে পারি না। এ ঘটনার পর আমরা জনসাধারণের ক্ষোভের প্রকাশ দেখতে পাচ্ছি, যার ভিত্তিও আমরা বুঝতে পারছি। তবে ক্ষোভ প্রকাশের এই ধরনকে আমরা অনুমোদন করতে পারি না। শ্রমজীবী শ্রেণি থেকে উঠে আসা আমাদের অনেকেই এ বেদনা ও কষ্টের সঙ্গে পরিচিত।’

বৃহস্পতিবার রাতে সহিংসতার ঘটনায় প্রায় ৯০০ জনকে আটক করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রমতে জানা গেছে, শুক্রবার এই সহিংসতা আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। সরকার ইতোমধ্যেই ঘটনা নিয়ন্ত্রণে বাড়তি ৪৫ হাজার পুলিশ মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে।

উত্তরে লিলি থেকে রুবেক্স ও দক্ষিণে পুরো মার্সেই শহর জুড়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সেখানকার দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে, শহরের প্রধান সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।

ফ্রান্সে পুলিশের গুলিতে এমন মৃত্যু নতুন নয়। গত বছর ট্রাফিক চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে রেকর্ড ১৩ জন মারা যায়। আর চলতি বছর নাহেলের মৃত্যু ছিল দ্বিতীয় ঘটনা। বারবার এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তির কারণেই মূলত শুরু হয় প্রতিবাদ। তবে সেই প্রতিবাদ পরবর্তীকালে সহিংসতায় রূপ নিয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত ঘটে গত মঙ্গলবার। ওইদিন সকালে প্যারিসের উপশহর নানতেরে ট্রাফিক বিধি অমান্য করে জোরে গাড়ি চালানোর অভিযোগে নাহেল এম. নামের ১৭ বছর বয়সী এক তরুণকে গাড়ি থামানোর নির্দেশ দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু নাহেল তাতে কর্ণপাত না করে গাড়ি নিয়ে সরে পড়ার চেষ্টা করলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন পুলিশ সদস্যরা। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নাহেলের।

এ ঘটনায় শুরু হওয়া বিক্ষোভ তীব্র থেকে আরও তীব্র হচ্ছে। গত রাতে সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হয়েছে লিঁও শহরে।

ফরাসি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এ শহরে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর অন্তত ৩৫ জন সদস্য আহত হয়েছেন। যার মধ্যে দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।শহরটির সাধারণ মানুষ আশঙ্কা করেছেন, যদি আরও পুলিশ মোতায়েন না করা হয় তাহলে পরিস্থিতি সামনে আরও খারাপ হবে।

ফ্রান্সের জাতীয় ফুটবল দলের পক্ষ থেকে শান্তির ডাক দিয়ে এমবাপ্পে লিখেছেন, ‘সহিংসতা কোনো কিছুই সমাধান করতে পারে না। বিশেষ করে যখন এটা তাদের বিরুদ্ধেই যায়, যারা এটি প্রকাশ করে। তাদের পরিবার, কাছের মানুষ ও স্বজনেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আপনারা যা ধ্বংস করছেন তা আপনাদেরই সম্পদ। তীব্র উদ্বেগপূর্ণ এ পরিস্থিতিতে আমরা চুপ থাকতে পারি না। আমাদের নাগরিক বিবেক ডাক দিচ্ছে শান্তির, সচেতনতা ও দায়বদ্ধতার।’

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

ইতালিতে ১০৯ মাফিয়া সদস্য আটক
কুরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ পশু: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
২৬ মে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি শুরু
‘লং ড্রাইভে যাওয়ার প্রস্তাব’, জয়কে একহাত নিলেন মিষ্টি জান্নাত
গাজা ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের আরেক কর্মকর্তার পদত্যাগ
হজ যাত্রী নিয়ে উড়াল দিতেই বিমানের ইঞ্জিনে আগুন

আরও খবর