শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৪.৭৪°সে
সর্বশেষ:
ইতালিতে ১০৯ মাফিয়া সদস্য আটক কুরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ পশু: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ২৬ মে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি শুরু ‘লং ড্রাইভে যাওয়ার প্রস্তাব’, জয়কে একহাত নিলেন মিষ্টি জান্নাত গাজা ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের আরেক কর্মকর্তার পদত্যাগ হজ যাত্রী নিয়ে উড়াল দিতেই বিমানের ইঞ্জিনে আগুন রাষ্ট্রীয় সফরে চীন পৌঁছেছেন পুতিন গাজীপুরে আগুনে পুড়ল ৩ কলোনির শতাধিক বসতঘর-দোকান গাজায় হামাসের হামলায় ৫ ইসরাইলি সেনা নিহত সৌদি আরব গেছেন প্রায় ২২ হাজার,এখনো ভিসা হয়নি ৬ হাজার হজযাত্রীর গুলিবিদ্ধ হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদ্মায় পানি শুকিয়ে ধু-ধু বালুচর, মহানন্দার বুকে চলছে চাষাবাদ

 মুসলিমদের সংখ্যা বাড়ছে অস্ট্রিয়া

অনলাইন ডেস্ক :
ভিয়েনা, ওয়াইন এবং অসাধারণ সব দৃশ্য। একশ বছর আগে নিজেদের প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিল অস্ট্রিয়া। দেশটিতে দিন দিন ইসলাম ধর্মের মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। চলুন দেশটি সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক।
অস্ট্রিয়া পশ্চিম ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। স্থলবেষ্টিত এই দেশের উত্তরে জার্মানি ও চেক প্রজাতন্ত্র, পূর্বে স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি, দক্ষিণে স্লোভেনিয়া ও ইতালি, এবং পশ্চিমে সুইজারল্যান্ড ও লিশ্‌টেন্‌ষ্টাইন।

অস্ট্রিয়া মূলত আল্পস পর্বতমালার উপরে অবস্থিত। দেশটির তিন-চতুর্থাংশ এলাকা পর্বতময়। এটি ইউরোপের ৬টি রাষ্ট্রের অন্যতম যারা স্থায়ীভাবে নিরপেক্ষতা ঘোষণা করেছে। অস্ট্রিয়া ১৯৫৫ থেকে জাতিসংঘের এবং ১৯৯৫ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য।

বার্গেনল্যান্ড থেকে লেক কন্সটান্সের মধ্যকার দেশটির নয়টি রাজ্যে বিভক্ত। অস্ট্রিয়ায় ৮.৮ মিলিয়ন (৮৮ লাখ) মানুষের বাস। দেশটির অধিকাংশ অংশই আসলে পাহাড়ি অঞ্চল। পুরো দেশের মতো পূর্বাঞ্চলের ফোরার্লব্যার্গ রাজ্যও ছবির মতো সুন্দর।

ভিয়েনায় শ্যোনবর্ন প্যালেসের মতো অস্ট্রিয়ান এম্পায়ারের আর কোনো বড় প্রতীক নেই। ১৯১৮ সাল অবধি এটা ছিল হাবর্সবর্গ শাসকদের গ্রীষ্মকালীন আবাস। পরবর্তীতে এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করা করে ইউনেস্কো। বর্তমানে বছরে প্রায় ৪০ লাখ পর্যটক এই স্থাপনাটি দেখতে আসেন।

গ্রীষ্মে ভিয়েনার বাসিন্দারা শহরের বাইরে দেশটির সবুজ গ্রামাঞ্চলে ছুটে যান। লোয়ার অস্ট্রিয়ার ভাইনফিয়ার্টেল ওয়াইন উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। অনেকেই এই অঞ্চলে যান সরাসরি ওয়াইন উৎপাদকের কাছ থেকে ওয়াইন পানের আশায়।

অস্ট্রিয়ার সবচেয়ে নিম্নাঞ্চল হচ্ছে বার্গেনল্যান্ড। সেখানে লেখ নয়েসিডলের অবস্থান, যেখানে দুর্লভ সব পাখির দেখা মেলে। এলাকাটি বিশ্বের সবচেয়ে শান্ত ইলেক্ট্রো-পপ উৎসব লেক অব লাভ এর জন্যও বিখ্যাত। সেই উৎসবের সংগীত সবাই একত্রে শুনলেও কানে পৌঁছায় আলাদা আলাদা হেডফোনে।

অস্ট্রিয়াতে প্রচলিত ধর্মবিশ্বাসের মধ্যে রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টধর্ম প্রধান। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ৭৩.৬% লোক এই ধর্মে বিশ্বাসী। প্রায় ১১.৫% লোক প্রতি রোববারে গির্জায় যান। তবে গির্জায় যাওয়ার পরিমাণ ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। লুথেরান খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা ২০০৬ সালে জনসংখ্যার ৪.৭% ছিল; এরা বেশির ভাগই দক্ষিণ অস্ট্রিয়ার কের্নটেন অঙ্গরাজ্যে বাস করে। অস্ট্রিয়াতে মুসলিম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বর্তমানে এরা জনসংখ্যার ৪.২%। এছাড়াও অস্ট্রিয়াতে স্বল্পসংখ্যক হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ ও ইহুদীবাস করেন।
সূত্র: ডয়চে ভেলে ও উইকিপিডিয়া

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

ইতালিতে ১০৯ মাফিয়া সদস্য আটক
কুরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ পশু: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
২৬ মে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি শুরু
‘লং ড্রাইভে যাওয়ার প্রস্তাব’, জয়কে একহাত নিলেন মিষ্টি জান্নাত
গাজা ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের আরেক কর্মকর্তার পদত্যাগ
হজ যাত্রী নিয়ে উড়াল দিতেই বিমানের ইঞ্জিনে আগুন

আরও খবর