মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের মাটিতেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ। রোববার রাতে জানাজা শেষে নিহতের লাশ দৌলতপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
রোববার বাদ মাগরিব মানিকগঞ্জের দৌলতপুর প্রমোদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এ সময় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে দৌলতপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তার লাশ সমাহিত করা হয়।
তার জানাজায় মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম রাজা, নিহতের স্বজনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শত শত মানুষ অংশ নেন।
এর আগে বিকাল ৫টার দিকে ঢাকা থেকে তার মরদেহ আনা হয়। এ সময় বাবা-মাসহ স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে যায় দৌলতপুরের আকাশ বাতাস।
শনিবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কনস্টেবল পারভেজ। এর আগে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে জখম হন তিনি।
পারভেজের আদি বাড়ি ছিল দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি গ্রামে। যমুনায় বাড়ি বিলীন হয়ে গেলে তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার মোল্লা পার্শবর্তী টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামে বসবাস শুরু করেন। নিহত পারভেজ স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
এদিকে নিহতের পরিবারকে ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে নগদ ১ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন এমপি দুর্জয়। সেই সঙ্গে তার পরিবারকে একটি নতুন ঘর করে দেওয়ার আশ্বাস দেন সংসদ সদস্য।