সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৯.৫৮°সে
সর্বশেষ:
জিম্বাবুয়ে সিরিজের দল ঘোষণা টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ঢাকায় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল বাংলাদেশের ৫ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ ঘোষণা আত্রাইয়ে তীব্র গরম, দুর্ভোগে শ্রমজীবী মানুষ নানা আয়োজনের বাঙ্গালহালিয়াতে সাংগ্রাঁই জলকেলি উৎসব উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা সমাবেশের ঘোষণা দিল বিএনপি ইউক্রেন যুদ্ধ বাঁধিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অভিযোগ রাশিয়ার মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার জিতল বাংলাদেশের সিনেমা তীব্র তাবদাহে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় নতুন নির্দেশনা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চায় চীন: ব্লিঙ্কেন ট্রাম্পের বিচার নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে বিভক্তি

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

অনলাইন ডেস্ক:
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকা। শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করে প্রথমে ফেসবুকে পোস্ট দেন ফাইরুজ। এরপর ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

তাকে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, তিনি মারা গেছেন।

এদিকে ফেসবুক পোস্টে অবন্তিকা আইন বিভাগের আম্মান সিদ্দিক নামে তার সহপাঠী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম দায়ী থাকবেন বলে উল্লেখ করে যান। এর সঙ্গে আইন বিভাগের আম্মান সিদ্দিক নামে তার সহপাঠীর নাম উল্লেখ করেন।

ফেসবুক পোস্টে অবন্তিকা লিখেছেন, ‘আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই, তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানান ভাবে ভয় দেখায়। আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস পাব না।’

পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আমি উপাচার্য সাদেকা হালিম ম্যামের কাছে আপনি এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে আপনার কাছে বিচার চাইলাম। আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার ওপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এতো ভালোবাসে যে মানুষ সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র আম্মান সিদ্দিকীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।

তবে পোস্টে নাম উল্লেখ করা সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম বলেন, মেয়েটাকে দেখি ১ থেকে দেড় বছর আগে। তারা কয়েকজন সহপাঠী প্রক্টর অফিসে আসে। সে সময় তৎকালীন প্রক্টর মোস্তফা কামাল স্যার, আমিসহ আরও কয়েকজন সহকারী প্রক্টর অফিসে ছিলাম। মেয়েটা ফেক আইডি ব্যবহার করে তার বন্ধুদের এসএমএস দিত। এটা নিয়ে থানায় জিডি হয়েছে বলে আমাদেরকে জানানো হয়। পরে মেয়েটা স্বীকার করে। এরপর তার পরিবারের লোকজন অনুরোধ করে জিডি তুলে নেওয়ার জন্য। তখন সব প্রক্টরিয়াল টিম মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেয়, তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কোনো ঝামেলা না হলে জিডি তুলে নেওয়া হবে। আমি কখনো মেয়েটার সঙ্গে একা কথা বলিনি। সিসিটিভি ফুটেজ বা প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দেখলেও বুঝা যাবে। আপনারা ঘটনা তদন্ত করে দেখুন। আমি দোষী হলে শাস্তি দিন। কিন্তু আগেই আমাকে দোষী বানাবেন না দয়া করে। না হলে আমারও সুইসাইড করা লাগবে।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। ছাত্রী তার মৃত্যুর জন্য দায়ী হিসেবে আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের একজন সদস্যদের নাম উল্লেখ করেছে। মাননীয় উপাচার্য সাময়িকভাবে তাকে অব্যহতি প্রদানের মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন। আইনগত প্রক্রিয়ায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের ৫ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ ঘোষণা
আত্রাইয়ে তীব্র গরম, দুর্ভোগে শ্রমজীবী মানুষ
নানা আয়োজনের বাঙ্গালহালিয়াতে সাংগ্রাঁই জলকেলি উৎসব উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সমাবেশের ঘোষণা দিল বিএনপি
ইউক্রেন যুদ্ধ বাঁধিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অভিযোগ রাশিয়ার

আরও খবর