শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৪.২১°সে
সর্বশেষ:
ট্রাম্পের বিচার নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে বিভক্তি গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভ বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপপ্রবাহে ত্রাহি জনজীবন, বৃষ্টির আশায় বিশেষ দোয়া দেশকে এগিয়ে নিতে কৃষির আধুনিকায়নের বিকল্প নেই : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: ম্যাক্রোঁ হবিগঞ্জে কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্মার্ট হতে হলে মুক্তবুদ্ধি ও সৃষ্টিশীল কাজের চর্চা করতে হবে : ইউজিসি চেয়ারম্যান জব্বারের বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার বাঘা শরীফ গোল্ডেন মনির খালাস: আদালত বলছেন, মামলা সাজানো, তাঁর অস্ত্র বৈধ তাহিরপুর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনুষ্ঠানিক ভাবে আফতাব উদ্দিনের প্রচার প্রচারনা শুরু ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলীখেলা আজ অংশ নিচ্ছে দেড় শতাধিক বলী

প্রতিদিন নষ্ট হয় ১০০ কোটি মানুষের খাবার: জাতিসংঘ

অনলাইন ডেস্ক :
পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেও প্রতিদিন ১০০ কোটি মানুষের এক বেলার সমান খাবার নষ্ট হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে পাঁচ ভাগের একভাগ খাবার ফেলে দেওয়া হচ্ছে। জাতিসংঘের পরিবেশ সংস্থার (ইউএনইপি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

খাদ্যের অপচয় নিয়ে ইউএনইপির ফুড ওয়াস্ট ইনডেক্স শীর্ষক ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২২ সালে ১০৫ কোটি টন খাবার নষ্ট হয়েছে, যা বিশ্ববাজারে আসা উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের প্রায় এক–পঞ্চমাংশ। আর ভোক্তাদের প্রায় ১৯ শতাংশ খাবার দোকান, রেস্তোরাঁ ও গৃহস্থালি পর্যায়ে নষ্ট হয়। ফসল তোলার পর থেকে বিক্রি পর্যন্ত সরবরাহ শৃঙ্খলের মধ্যে ১৩ শতাংশ খাবারের অপচয় হয় বলে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য।

খাবার অপচয়ের এই চিত্রকে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স শীর্ষক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৭৮ কোটির বেশি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন শত কোটি টন খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে।

ইউএনইপির নির্বাহী পরিচালক ইনগার অ্যান্ডারসন এক বিবৃতিতে বলেন, মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার কিনছে বলে এ ধরনের অপচয় হচ্ছে। এছাড়া তারা কতটুকু খেতে পারবে, তাও আন্দাজ করতে পারছে না। এতে খাবার উচ্ছিষ্ট থেকে যাচ্ছে।

এ ধরনের ঘটনাকে ‘পরিবেশগত ব্যর্থতা’ হিসেবে তুলে ধরে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের অপচয়ের ঘটনা নৈতিক নয়। উড়োজাহাজ চলাচল থেকে নিঃসরিত কার্বন যতটা না বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়াচ্ছে, তার থেকে পাঁচ গুণ উষ্ণতা বাড়াচ্ছে খাদ্যবর্জ্য।

এখন পর্যন্ত বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি। প্রতিবেদনটি তৈরিতে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে অলাভজনক সংস্থা ডব্লিউআরএপি। খাবার অপচয় নিয়ে এটি এ পর্যন্ত সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ চিত্র উপস্থাপন করেছে।

ডব্লিউআরএপি’র কর্মকর্তা রিচার্ড সোয়ানেল বলেন, এই চিত্র দেখে আমি হতভম্ব। বিশ্বে এক বেলায় যত খাবার নষ্ট হয়, শুধু তা দিয়েই অনাহারে থাকা প্রায় ৮০ কোটি মানুষকে প্রতিবছর খাওয়ানো সম্ভব।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন।

সোয়ানেল বলেন, এ ধরনের অপচয় হওয়ার বড় কারণ, মানুষ তাদের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার কিনছে। এছাড়া তারা কতটুকু খেতে পারবে তার আন্দাজ করতে পারছে না। এতে খাবার উচ্ছিষ্ট থেকে যাচ্ছে।

সোয়ানেল বলেন, আরেকটি বিষয় হলো- মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ। উৎপাদিত খাবার নষ্ট হচ্ছে কারণ, মানুষ ভুলবশত ধারণা করে যে তাদের খাবারের মেয়াদ নেই।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রচুর খাদ্য অযথাই অপচয় হয়নি; বরং এগুলো পরিবহনের সময় কিংবা রেফ্রিজারেটরের অভাবে নষ্ট হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

ট্রাম্পের বিচার নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে বিভক্তি
গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভ
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তীব্র তাপপ্রবাহে ত্রাহি জনজীবন, বৃষ্টির আশায় বিশেষ দোয়া
দেশকে এগিয়ে নিতে কৃষির আধুনিকায়নের বিকল্প নেই : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: ম্যাক্রোঁ

আরও খবর