বিশেষ প্রতিনিধি:
বাঙালির লোকজ ইতিহাস-ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি গুরুত্ব অপরিসীম। সেই প্রাচীনকাল থেকেই আজ অবধি গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে আয়োজিত এ উৎসব বাঙালিয়ানাকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়।
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পৃথিবীর বিভন্ন দেশে বাংলাদেশি কমিউনিটির মাঝে এ উৎসব এখন নিয়মিত দেখা যাচ্ছে। তারই ধারবাহিকতায় এবার আমেরিকার চট্টগ্রাম ফাউন্ডেশন নিউজার্সি সৌজন্যে প্যাটারসনের ওয়ালনাট স্টিট ফায়ারম্যান হল হতে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠার মহা উৎসব।
২ই মার্চ শনিবার চট্টগ্রাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্যাটারসনের ওয়ালনাট স্টিট ফায়ারম্যান হলে আয়োজিত পিঠা উৎসবে ভাপা পিঠা থেকে শুরু করে চিতই, দুধচিতই, ছিট, দুধকুলি, ক্ষীরকুলি, তিলকুলি, পাটিসাপটা, ফুলঝুড়ি, ধুপি, নকশি, মালাই, মালপোয়া, পাকন ও ঝাল পিঠার বিপুল সমাহার ঘটবে।
পিঠা উৎসব সকলের জন্য উন্মোক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটির আহবায়ক আবু সফিউন চৌধুরী রনি।
তিনি বলেন, প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে দেশীও ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়াই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। তাছাড়া আমরা যারা দীর্ঘদিন প্রবাসে ব্যস্ত জীবন কাটাচ্ছি তারা যেন পিঠা-পুলির উৎসবকে কেন্দ্রে করে একদিন একত্রিত হতে পরি। ভাগা-ভাগি করতে একে অন্যের আনন্দ।বাংলাদেশি ও বাঙালী কমিউনিটির সবাই পিঠা উৎসবে দলে দলে অংশ নিবেন এমনটাই আশা করছেন এই আয়োজক।
চট্টগ্রাম ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রতীন্দ্র দার পিকলু ,শক্তি চৌধুরী ,আব্দুল করিম,অপু দেবনাথ,সুপ্রকাশ মজুমদার,আশীষ চৌধুরী তারা বলেন, পিঠা-পায়েস সাধারণত শীতকালের রসনাজাতীয় খাবার হিসাবে অত্যন্ত পরিচিত এবং মুখরোচক খাদ্য হিসাবে বাঙালি সমাজে আদরণীয়। আমাদের হাজারো সমস্যা সত্ত্বেও গ্রামবাংলায় এসব পিঠা-পার্বণের আনন্দ-উদ্দীপনা এখনো মুছে যায়নি। পিঠা-পার্বণের এ আনন্দ ও ঐতিহ্য ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বময়।