অনলাইন ডেস্ক:
চিঠি দেওয়ার পরও রাস্তা ছেড়ে সমাবেশের মাঠে যেতে না চাওয়ায় ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে পছন্দমত জায়গাতেই সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবছে পুলিশ। দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বলছে, নাশকতা বা সহিংসতা করলে পার পাবে না কেউই। সমাবেশ ঘিরে অস্ত্র ও বিস্ফোরক নিয়ে কেউ যাতে ঢাকায় ঢুকতে না পারে সেজন্য নগরীর ১৩টি প্রবেশপথে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে।
২৮ অক্টোবর ঢাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ২১টি দল নিজেদের সুবিধাজনক জায়গায় সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে রাস্তা থেকে সরে মাঠে সমাবেশ করার অনুরোধ করে পুলিশ। দুদল থেকে জবাব দিয়ে অন্য জায়গায় সমাবেশ করা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়। পুলিশ দুই দলের পছন্দের জায়গায় অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে ভাবছে।
ডিএমপি বলছেন, মানুষের নিরাপত্তা দিতে সদা প্রস্তুত। সমাবেশ কিংবা সোশ্যাল বা পলিটিক্যাল— যে কোনো বিষয়ের জন্য সব সময় পজিটিভ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ঢাকায় নগরবাসীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা, মানুষের জীবন এবং সম্পদ রক্ষার জন্য যা যা করণীয় সব করবে পুলিশ। সমাবেশ কেন্দ্র করে বৃহত্তর দুই রাজনৈতিক দল দায়িত্বশীল আচরণ করবে পুলিশ সেই প্রত্যাশা করছে।
এদিকে ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ ঘিরে ঢাকার সব প্রবেশ পথ নিরাপদ করতে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, বিএনপির সমাবেশে যারা আসবেন তাদের নিরাপত্তা বিধান করার দায়িত্ব যেমন পুলিশের, তেমনি আওয়ামী লীগের সমাবেশে যারা আসবেন তাদেরও নিরাপত্তা দেবে পুলিশ। সমাবেশ বা যে কোনো জমায়েতে সবার নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব পুলিশের।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ কঠোরভাবে তল্লাশি করে যখন নিশ্চিত হবে যে তারা কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অংশ নেবে না বা মানসিকতা নেই বা প্রস্তুতি নেই তাহলেই কেবল পুলিশতাদেরকে প্রবেশ করতে দেবে।
তবে নিবন্ধনহীন দল জামায়েতে ইসলামীকে সমাবেশ না করতে দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশ অনড়। তিনি জানান, আইন বিরোধী যদি কোনো গোষ্ঠী সমাবেশ করতে চায় তবে সেটা অবৈধ সমাবেশ এবং সেটা অবশ্যই করতে দেব না পুলিশ।