অনলাইন ডেস্ক:
প্রতারণার মামলায় আদালতের জরিমানা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পদ বাড়িয়ে দেখানোর জন্য ট্রাম্পকে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা করেছিলেন নিউইয়র্কের একটি আদালত। কিন্তু এই জরিমানা পরিশোধের মতো নগদ অর্থ ট্রাম্পের কাছে নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। সোমবার নিউইয়র্কের আপিল আদালতকে দেওয়া ফাইলিংয়ে ট্রাম্পের আইনজীবীরা বলেছেন, নগদ অর্থ না থাকায় সাবেক প্রেসিডেন্টের পক্ষে জরিমানা পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় সম্পদ বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন ট্রাম্প। সিএনএন ও বিবিসি।
আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করতে চান ট্রাম্প। তবে তার আগে তাকে অবশ্যই আপিল আদালতের অ্যাকাউন্টে জরিমানা পরিশোধ করতে হবে অথবা তার পক্ষে কোনো কোম্পানিকে ওই পরিমাণ অর্থ পরিশোধের বন্ডে স্বাক্ষর করতে হবে। কিন্তু ট্রাম্পের কাছে না আছে অর্থ। না আছে সহযোগিতা। আদালতের কাছে ট্রাম্পের আইনজীবীরা লিখিত জানিয়েছেন, ট্রাম্প ৩০টি সংস্থার কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা কেউ রাজি হননি। ট্রাম্পের দুই বড় ছেলেকেও এই মামলায় জরিমানা দিতে হবে। সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, তাকে ফাঁসানোর জন্য এই মামলাটি করা হয়েছে। বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। এদিকে ট্রাম্প জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আগামী সোমবার থেকেই নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষ তার সম্পদ জব্দের কাজ শুরু করতে পারে। যদি ‘ফাস্ট ডিপার্টমেন্ট অব দ্য অ্যাপিলেট ডিভিশন’ নামক আদালত সম্পদ জব্দের প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত করতে রাজি হয় তাহলেই এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটতে পারে।
উল্লেখ, জালিয়াতি করে ঋণদাতার কাছে নিজের সম্পদের মূল্য বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগে গত ফেব্র“য়ারিতে নিউইয়র্কের একটি আদালত ট্রাম্পকে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার জরিমানা করেন। সুদসহ সব মিলে তাকে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা গুনতে হবে। রায় দিয়েছিলেন, ম্যানহাইটের সুপ্রিমকোর্টের বিচারক আর্থার এনগোরন। সে সময়ই অ্যাটর্নি জেনারেল জেমস বলেছেন, ‘আদালতের রায় অনুযায়ী ট্রাম্পের জরিমানা পরিশোধের জন্য যথেষ্ট তহবিল না থাকলে আমরা রায় বাস্তবায়নে ব্যবস্থা নেব। তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য বিচারকের কাছে আবেদন করব।’