ইমরান মোল্লা,খুলনা:

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও তরুন প্রজন্মেকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শনিবার বিকালে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত।কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ,খুলনা -৩ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেসিসি মেয়র ও নগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক। সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ইবনুল হাসান ও সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপ কৃষি শিক্ষা সম্পাদক মীর ওবায়েদুল রহমান শাওন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, নগর আওয়ামী লীগের সদস্য সাংবাদিক মোজাম্মেল হক হাওলাদার,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান শেখ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি শিক্ষা সম্পাদক মোঃ হোসেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক খন্দকার খালিদ হাসান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু রহমান কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। তিনি ওয়াদার বর খেলাপ করেননি। তিনি একটি দেশ দিয়েছেন, একটি লাল সবুজের পতাকা দিয়েছেন। তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও কথা দিয়ে কথা রাখেন ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়ে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন করেছিলেন। হার্ট, ব্রেন ও কিডনি কঠিন তিনটি রোগের চিকিৎসার জন্য শেখ আবুল নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের কাজ শুরু করেন। ৯৬ সালে শুরু করা হসপিটাল এর কাজ ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত সরকার ক্ষমতায় এসে হসপিটালের কাজ বন্ধ করে দেন। বগুড়ায় নিয়ে যান হসপিটাল। এ অঞ্চলের মানুষের বিনোদন খেলাধুলার জন্য শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের চলমান কাজ বন্ধ করে রাখেন। রুপসা নদীর উপরে সেতু নির্মাণ রেলসহ শুরু করেন ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সেতুর সাথে রেল সংযোগ সেতু বাদ দিয়ে শুধু সড়ক সেতু নির্মাণ করেন। জামাত-বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে এদেশের উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যা আপনারা ইতিপূর্বে দেখেছেন। এ অঞ্চলের গরিব মানুষরা দেশের বাইরে চিকিৎসা সেবা নিতে পারে না।চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করে দিয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা ১০০ বছরের ডেল্টা প্লান নিয়ে কাজ করছেন। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করে বিশ্বের বুকে একটি মডেল হিসেবে তৈরি করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা দিয়েছিলেন। তিনি জানতেন এদেশের কৃষবিদরাই এ দেশকে একদিন এগিয়ে নিয়ে যাবে,খাদ্যে সম্পূর্ণ করতে পারবে । দেশকে সবুজয়ান করবে এই কৃষিবিদদের নেতৃত্বেই। সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করতে হবে শেখ হাসিনাকে পঞ্চম বারের মত প্রধানমন্ত্রী করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আহবান জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক বশির আহমেদ,অধ্যাপক তুহিনুল হাসান,অধ্যাপক ভাস্কর মজুমদার,অধ্যাপক ডঃ মোঃ আশিকুল আলম, শেখ মোশারফ হোসেন, আব্দুর রউফ মোড়ল শেখ ওয়াহিদুজ্জামান অহিদ, ছাত্রলীগ খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মাহিরুল হক শিলং,পিয়াল রায়,এম এম পানশানুল, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য সহ শিক্ষক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সকল পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ।
৩নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য কার্ড বিতরণ
স্টাফ রিপোর্টার:বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগ দৌলতপুর থানার শাখার উদ্যোগে শনিবার বিকেলে দৌলতপুর ৩নং ওয়ার্ড কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ৩নং ওয়ার্ড শাখার সদস্য কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।প্রধান অতিথি ছিলেন দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বি জেএ’র চেয়ারম্যান শেখ সৈয়দ আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ হাসান পিকু, রাজিব উদ্দিন রাজু,জাহাঙ্গীর প্রধান,শহিদুল ইসলাম মিলন। সভাপতিত্ব করেন দৌলতপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান কামাল। সঞ্চালনায় ছিলেন দৌলতপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম নবী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তৃতা করেন নগর সেচ্ছাসেবকলীগের নেতা মোঃ ফরহাদ হোসেন,গোলাম রব্বানী মামুন,ইব্রাহিম মোড়ল, শফিকুল ইসলাম বাবু,সুব্রত মিস্ত্রি,মেহেদী হাসান সোহাগ,শাহীন শেখ,মেহেদী হাসান,মামুন শেখ,মুরাদ ফরাজী,রবি বিশ্বাস,মোহাম্মদ মুরাদ,মোহাম্মদ জামাল,জামিল,রুবেল হোসেন,রিফাত হোসেন সহ সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন আগামী নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে মিলেমিশে কাজ করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পঞ্চম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।