অনলাইন ডেস্ক:
শুরু হয়েছে জাম্বুরার মৌসুম। শীতের আগ পর্যন্ত বাজারে মিলবে জাম্বুরা বা বাতাবি লেবু। বড় আকৃতির এই সাইট্রাস ফলটির দেখা মূলত এশিয়াতেই মেলে। নিয়মিত জাম্বুরা খেলে দূরে থাকতে পারবেন অনেক ধরনের রোগ থেকে। এতে ক্যানসার প্রতিরোধী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ আরও বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
একটি খোসা ছাড়ানো জাম্বুরায় ২৩১ ক্যালোরি, ৫ গ্রাম প্রোটিন, ৫৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ৬ গ্রাম ফাইবার মেলে। এছাড়া একই পরিমাণ জাম্বুরা আমাদের দৈনিক চাহিদার সাড়ে বারো শতাংশ রিবোফ্লাভিন, ১৭ শতাংশ থায়ামিন, ২৮ শতাংশ পটাশিয়াম এবং ৩২ শতাংশ কপারের জোগান দেয়। ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎকৃষ্ট উৎস জাম্বুরা।
আমাদের দৈনিক ফাইবারের চাহিদার বেশ বড় একটি অংশ পূরণ করতে পারে জাম্বুরা। ফাইবার খেলে হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এছাড়া অন্ত্রে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে ফাইবার।
জাম্বুরায় থাকা প্রোটিন এবং ফাইবার দীর্ঘ সময়ের জন্য পেটে থাকে। ফলে বাড়তি ক্ষুধা লাগে না এবং ক্যালোরি গ্রহণ কম হয়। এছাড়া জাম্বুরায় কারনিটিন পামিটয়েলট্রানসফারেজ নামের এক ধরনের উৎসেচক আছে। এটা শরীরের ওজন কমাতে সহায়ক।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ জাম্বুরা ক্যানসারের মতো রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। জাম্বুরায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেইসাথে অন্যান্য বেশ কয়েকটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগও মেলে ফলটি থেকে।
জাম্বুরা খেলে রক্তে কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ কমে। এতে হৃদরোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়। রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে জাম্বুরায় থাকা কিছু উপাদান।
সাইট্রাস ফলটিতে থাকা ভিটামিন সি হুট ঘনঘন জ্বর আসা বা সর্দি লাগা প্রতিরোধ করতে সক্ষম। মুখের ঘা সারাতেও এর ভূমিকা রয়েছে। জাম্বুরায় থাকা পটাশিয়াম রক্তনালি প্রসারিত করে ও রক্তচাপ কমায়। খাবারের রুচি বাড়াতে জাম্বুরা বেশ কার্যকর।
জাম্বুরায় প্রচুর পরিমাণে পানি ও ভিটামিন সি থাকে। ফলে নিয়মিত ফলটি খেলে ভালো থাকে ত্বক। জাম্বুরায় স্পারমেডিন নামের একটি বিশেষ উপাদান রয়েছে। এটি বার্ধক্য প্রতিরোধে সহায়তা করে।