সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৬.৫৭°সে
সর্বশেষ:
জিম্বাবুয়ে সিরিজের দল ঘোষণা টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ঢাকায় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল বাংলাদেশের ৫ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ ঘোষণা আত্রাইয়ে তীব্র গরম, দুর্ভোগে শ্রমজীবী মানুষ নানা আয়োজনের বাঙ্গালহালিয়াতে সাংগ্রাঁই জলকেলি উৎসব উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা সমাবেশের ঘোষণা দিল বিএনপি ইউক্রেন যুদ্ধ বাঁধিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অভিযোগ রাশিয়ার মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার জিতল বাংলাদেশের সিনেমা তীব্র তাবদাহে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় নতুন নির্দেশনা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চায় চীন: ব্লিঙ্কেন ট্রাম্পের বিচার নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে বিভক্তি

কুড়িগ্রামে ৯ বিদ্যালয় নদীগর্ভে,গৃহহীন হচ্ছে শত শত পরিবার

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে কুড়িগ্রামে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফলে প্রতিদিন গৃহহীন হয়ে পড়ছেন শত শত পরিবার। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও ঘরবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। প্রতিবছর নদনদীর পানি কমার সাথে সাথে এ জেলায় নদী ভাঙনের শিকার হন অনেক পরিবার।

নদী ভাঙনের শিকার আমজাদ, জাহানারা, ইসহাকসহ অনেকে বলেন, নদী তাদের বসতবাড়ি সব কিছু কেড়ে নিয়ে নিঃস্ব করেছে। আর প্রশাসন ১০ কেজি করে চাল দিয়ে যায়। তারা আর ত্রাণ চান না, চান নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে।

চিলমারী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, যে হারে ব্রহ্মপুত্র নদ ভাঙছে এর প্রতিরোধ না হলে চিলমারী ইউনিয়নের পুরো এলাকাসহ সরকারী স্কুল, আশ্রয়ণ কেন্দ্র নদী গর্ভে চলে যাবে।

অপরদিকে, তিস্তা নদীর প্রবল ভাঙনে ঝুঁকিতে পড়েছে জেলার রাজারহাট উপজেলার চর খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ নানা স্থাপনা। চলতি বছরেই ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে ৯টি স্কুল নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আরো ১০টি। ফলে এসব স্কুলে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থী। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই গত এপ্রিল মাসেই জেলার তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের বিভিন্ন পয়েন্টে শুরু হয় নদী ভাঙন। অব্যাহত ভাঙনে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হওয়ার পাশাপাশি নদীগর্ভে চলে গেছে ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা ব্যাঘাত ঘটছে। যদিও শিক্ষা বিভাগ বিকল্প পদ্ধতিতে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। সদর উপজেলার ঝুনকার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পর কাছাকাছি চালাঘর তুলে অস্থায়ীভাবে পাঠদান কার্যক্রম চলতে থাকে।

চিলমারী উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম জাকির হোসেন জানান, দফায় দফায় বন্যা হলেও নদী ভাঙনে বিলীন তিনটি স্কুল অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করে এসব শিক্ষার্থীর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার জানান, যেসব স্কুল নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে, সেখানে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় অস্থায়ীভাবে চালাঘর তুলে পাঠদান অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে যখন বরাদ্দ আসবে তখন পুণঃনির্মাণ করা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ধরলা নদীতে নদী ভাঙন চলছে। এখন প্রায় ৩০টি পয়েন্টে নদী ভাঙন চললেও আমরা বালুর বস্তা ফেলানো ও জিও ব্যাগ দিয়ে তা প্রতিরোধে চেষ্টা করছি। এছাড়াও নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ায় কয়েকটি স্কুল এরই মধ্যে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের ৫ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ ঘোষণা
আত্রাইয়ে তীব্র গরম, দুর্ভোগে শ্রমজীবী মানুষ
নানা আয়োজনের বাঙ্গালহালিয়াতে সাংগ্রাঁই জলকেলি উৎসব উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সমাবেশের ঘোষণা দিল বিএনপি
ইউক্রেন যুদ্ধ বাঁধিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অভিযোগ রাশিয়ার

আরও খবর