অনলাইন ডেস্ক
ইউক্রেন যুদ্ধসহ সব ধরনের সামরিক সংঘাতই ট্র্যাজেডি। এই ট্র্যাজেডি বন্ধে সবাইকে একযোগে কাজ করতে বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার ভার্চুয়ালি জি-২০ জোটের শীর্ষ সম্মেলনে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
পুতিন বলেন, ইউক্রেন প্রকাশ্যে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিলেও মস্কো কখনই কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আলোচনার আশা ত্যাগ করেনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্মেলনে জোটের বেশ কয়েকজন নেতা অভিযোগ করেন, তারা ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনে ‘বিস্মিত’। জবাবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যে কোনো সামরিক সংঘাতই এক ধরনের ট্র্যাজেডি। এই ট্র্যাজেডি নির্দিষ্ট কিছু মানুষ, নির্দিষ্ট কিছু পরিবার এবং সামগ্রিকভাবে পুরো একটি দেশের জন্য।’
এ সময় বিশ্বনেতাদের প্রতি এই সংকটের সমাধান খোঁজার আহ্বান জানিয়ে পুতিন বলেন, ‘নিরপেক্ষভাবে আমাদের সবাইকে ভাবতে হবে কীভাবে এই ট্র্যাজেডির ইতি টানা যায়।’
এ সময় তিনি বলেন, রাশিয়া কখনই ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার পথকে বন্ধ করেনি। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নির্বাহী আদেশ জারি করে রাশিয়ার সঙ্গে সব ধরনের শান্তি আলোচনার উদ্যোগকে নিষিদ্ধ করেছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, জোটের নেতারা ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের কারণে বিস্মিত হয়েছেন তা না হয় তিনি বুঝতে পারছেন; কিন্তু ২০১৪ সালে দোনবাসে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর রক্তাক্ত লড়াইয়ের সময়, সে বছরই কিয়েভে রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের সময় এবং ফিলিস্তিনে সাধারণ জনগণকে নির্মূলের সময় বিশ্বনেতাদের এমন প্রতিক্রিয়া কেন হয় না তা তিনি বুঝতে পারছেন না।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে এই বক্তব্য এমন একসময়ে এলো, যার মাত্র একদিন আগেই প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী বহুল আলোচিত পাল্টা আক্রমণেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করতে পারেনি। যা ইউক্রেনের পশ্চিমা বিশ্বের পৃষ্ঠপোষকদের হতাশ করেছে।
গত মঙ্গলবার মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেছেন, যদি ইউক্রেন দোনবাস ও ক্রিমিয়ার ওপর অধিকার ছেড়ে দেয়, তা হলে হয়তো রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে।