রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৪.০২°সে
সর্বশেষ:
আত্রাইয়ে তীব্র গরম, দুর্ভোগে শ্রমজীবী মানুষ নানা আয়োজনের বাঙ্গালহালিয়াতে সাংগ্রাঁই জলকেলি উৎসব উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা সমাবেশের ঘোষণা দিল বিএনপি ইউক্রেন যুদ্ধ বাঁধিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অভিযোগ রাশিয়ার মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার জিতল বাংলাদেশের সিনেমা তীব্র তাবদাহে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় নতুন নির্দেশনা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চায় চীন: ব্লিঙ্কেন ট্রাম্পের বিচার নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে বিভক্তি গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভ বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপপ্রবাহে ত্রাহি জনজীবন, বৃষ্টির আশায় বিশেষ দোয়া

আ.লীগ-জাপা আসন সমঝোতা চূড়ান্ত

অনলাইন ডেস্ক:
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দীর্ঘ দিনের মিত্র জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ২৬টি আসনে ছাড় দেবে আওয়ামী লীগ। তবে জাপা আরও অন্তত ১০টি আসনে ছাড় চেয়েছে। এতে ছাড়ের আসন সংখ্যা বেড়ে ৩০-৩৪টি হতে পারে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে পাঁচ দফা বৈঠকের পর শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন সামনে রেখে এ সিদ্ধান্ত এলো। ফলে এদিন (রবিবার) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন শেষে ছাড় দেওয়া আসনের সংখ্যা নিশ্চিত হয়ে যাবে।

এর আগে ১৪ দলের শরিক দলগুলোকে ৭টি আসনে ছাড় দেওয়ার কথা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে দলগুলো আসন সংখ্যা বাড়াতে বিভিন্নভাবে আলোচনা চালিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগের সাড়া মেলেনি বলে সূত্র জানিয়েছে।তবে ছাড় দেওয়া আসনগুলোতে দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্ভার জয়ের ক্ষেত্রে ‘গলার কাটা’ হওয়ায় সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল জাপা ও ১৪ দলের শরিকরা। কিন্তু তাতে কান না দিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতে আসতে বলেছে আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে দলটির শরিক ও মিত্র দলগুলো অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে।

আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির একাধিক সূত্র এমনটি জানালেও তারা নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। এমনকি আসন সমঝোতা নিয়ে শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দুই দফা ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছে দলটির নেতারা। তবে বৈঠক শেষে কোনও নেতা কথা বলেননি।

কোন কোন আসনে জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ছাড় দেওয়া হচ্ছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন শেষে ছাড় দেওয়া আসনের সংখ্যা নিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে বর্তমান একাদশ জাতীয় সংসদে থাকা জাপার কয়েকজন ছাড়া অন্য এমপিরা এবং আগের দুই সংসদে (২০০৮ ও ২০১৪) এমপি হওয়া কয়েকজন এবার নতুন করে ছাড়ের তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছে সূত্র।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রথম বৈঠকটি হয় বিকাল সাড়ে ৫টায়, যা চলে দেড় ঘণ্টার মতো। দ্বিতীয় বৈঠকটি শুরু হয় রাত পৌনে ৯টায়, আর শেষ হয় রাত সাড়ে ১০টায়। প্রথম বৈঠকে ওবায়দুল কাদের ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম অংশ নেন। দ্বিতীয় বৈঠকে ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজমের সঙ্গে যুক্ত হন দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত ও উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান।

তবে রুদ্ধদ্বার এই দুই বৈঠকের বিষয়ে কোনও নেতাই কথা বলতে রাজি হননি। দলীয় সূত্র জানায়, উভয় বৈঠকেই আলোচনার মূল বিষয় ছিল শরিক ও মিত্র দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতা। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি কৌশলের অংশ হিসেবে ভোটে থাকা দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সরিয়ে নিতে শরিক ও মিত্র দলগুলোর অনুরোধের বিষয়েও আলোচনা হলেও সাড়া আসেনি।

এর আগে ১৪ দলের শরিক দলগুলোকে ৭টি আসনে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় আওয়ামী লীগ। তা নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেওয়ার মধ্যেই জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে এ পর্যন্ত পাঁচ দফা বৈঠক হয়েছে। জাতীয় পার্টি ৪০টি আসনে ছাড় চাইলেও ২৬টির বেশি দিতে রাজি নয় আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে চলে নানামুখী আলোচনা।

এর আগে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে বনানীর একটি বাড়িতে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যে সবশেষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম অংশ নেন। তাদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেন।

গত ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বৈঠক করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। পরদিন ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আবারও গণভবনে যান জিএম কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ ছয় জন কো-চেয়ারম্যান ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। ওই দিন আওয়ামী লীগের এক নেতার গুলশানের বাসায় দলটির হাফ ডজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় পার্টির দুই নেতা। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দলটির নেতাদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতাদের এসব বৈঠক নিয়েও সরাসরি কিছু জানায়নি দল দুটি।

এদিকে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কয়েকজন নেতাকে নিয়ে গণভবনে যান বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। এসময় সঙ্গে ছিলেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা, রওশনের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ, কাজী মামুনুর রশীদ, সাদ এরশাদ ও তার স্ত্রীসহ আরও কয়েকজন নেতা। এ সময় জিএম কাদেরের নেতৃত্বে নির্বাচনে আসা জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট গড়া বা আসন সমঝোতা না করতে আওয়ামী লীগের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বলেও জানা যায়। এর আগে গত ১৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন রওশন এরশাদ।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

আত্রাইয়ে তীব্র গরম, দুর্ভোগে শ্রমজীবী মানুষ
নানা আয়োজনের বাঙ্গালহালিয়াতে সাংগ্রাঁই জলকেলি উৎসব উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সমাবেশের ঘোষণা দিল বিএনপি
ইউক্রেন যুদ্ধ বাঁধিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অভিযোগ রাশিয়ার
মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার জিতল বাংলাদেশের সিনেমা

আরও খবর