রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১০.১°সে
সর্বশেষ:
আত্রাইয়ে তীব্র গরম, দুর্ভোগে শ্রমজীবী মানুষ নানা আয়োজনের বাঙ্গালহালিয়াতে সাংগ্রাঁই জলকেলি উৎসব উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা সমাবেশের ঘোষণা দিল বিএনপি ইউক্রেন যুদ্ধ বাঁধিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অভিযোগ রাশিয়ার মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার জিতল বাংলাদেশের সিনেমা তীব্র তাবদাহে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় নতুন নির্দেশনা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চায় চীন: ব্লিঙ্কেন ট্রাম্পের বিচার নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে বিভক্তি গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভ বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপপ্রবাহে ত্রাহি জনজীবন, বৃষ্টির আশায় বিশেষ দোয়া

আমেরিকায় যেতে পারছেনা গ্রিন কার্ডধারীরা

বিশেষ প্রতিনিধি:

আমেরিকায় অভিবাসীদের কাছে গ্রিনকার্ড একটি পরিচিত শব্দ। এই কার্ডের রং সবুজ না হলেও কার্ড থাকা মানে আমেরিকায় স্থায়ীভাবে থাকার সবুজ পথটি পেয়ে যাওয়া। ইমিগ্রেশন বা অভিবাসন নিয়ে বর্তমান জো বাইডেন প্রশাসনের কঠোর নীতিমালার কারণে গ্রিনকার্ড ধরে রাখা অভিবাসীদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এই কার্ডের নানা শর্ত কঠোরভাবে পালনের বিষয়ে তাদের সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে। নানাবিধ কারণে এই গ্রিনকার্ড বাতিল হয়ে যেতে পারে।

এক বছরের কম সময় আমেরিকার বাইরে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে আবাসনের অনুমতি বাতিল করা হতে পারে এটা প্রমাণিত হওয়ায় ডুকতে পারছে না বাংলাদেশীসহ অনেক দেশের আমেরিকার গ্রীন কার্ডদারীরা।

জানা য়ায়,অনেক গ্রীন কার্ডধারীরা শর্থে অযোগ্য হওয়া আমেরিকার বিভিন্ন এয়ারপোর্ট থেকে ইমিগ্রেশন বিভাগ তাদেরকে দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। তবে কিছু ব্যক্তিদের শর্ত সাপেক্ষে তাদের পাসপোর্টে সীল দিয়ে প্রবেশ করতে দিচ্ছে আমেরিকার ইমিগ্রেশন।

এদিকে বাংলাদেশী আমেরিকার গ্রীন কার্ডদারীরা যারা বাংলাদেশে এসে ১০ থেকে ১২ মাস থেকেছে এবং রি-এন্ট্রি পার্মিট ইস্যু যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন সময়ে আবেদন না করার কারনে তাদের আমেরিকা প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।

আমেরিকার অভিবাসন আইন অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রতিটি দেশের জন্য মাত্র সাত শতাংশ গ্রিন কার্ড বরাদ্দ থাকে।গ্রিন কার্ডের লাগামছাড়া চাহিদা এবং সীমিত বরাদ্দ সংখ্যার কারণেই অপেক্ষা তালিকায় নামের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে সমীক্ষায় বলা হয়েছে। একই সঙ্গে, আমেরিকায় থাকা বহু বাংলাদেশী সন্তান শীঘ্রই তাঁদের বাবা-মায়ের থেকে আলাদা হতে পারেন বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বাবা-মা আমেরিকায় থেকে গেলেও আমেরিকা ছাড়তে হতে পারে সন্তানদের। সেই সংখ্যা এক লক্ষেরও বেশি। হয় তাঁদের পড়ুয়া ভিসা নিয়ে সে দেশে থাকতে হবে, নয়তো আমেরিকা ছাড়তে হবে।

সাধারণত, আপনি এক বছর পর্যন্ত আমেরিকার বাইরে থাকতে পারেন। আপনাকে যদি রি-এন্ট্রি পার্মিট ইস্যু করা হয়ে থাকে যা আবেদনকারীদের অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন সময়ে আবেদন করতে হয়, তাহলে আপনার রি-এন্ট্রি পার্মিট এর মেয়াদ থাকা পর্যন্ত আপনি আমেরিকার বাইরে অবস্থান করতে পারবেন। ইউএসসিআইএস অনুসারে, এক বছরের কম সময় আমেরিকার বাইরে থাকলেও আপনার যুক্তরাষ্ট্রে আবাসনের অনুমতি বাতিল করা হতে পারে যদি এটা প্রমাণিত হয় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আপনার স্থায়ী বাসস্থান করার উদ্দেশ্য ছিল না। এটা যাদের প্রমানিত হচ্ছে তারাই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারছে না।

ইউএসসিআইএস এর নীতি অনুসারে, আপনি যখন আমেরিকার বাইরে থাকবেন তখন আপনি রি-এন্ট্রি পার্মিট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন না। আমেরিকা ছাড়ার আগে আপনাকে অবশ্যই এর জন্য আবেদন করতে হবে। এছাড়াও, মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এন্ট্রি পার্মিট এর মেয়াদ বাড়ানো যাবে না।

 

 

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সমাবেশের ঘোষণা দিল বিএনপি
ইউক্রেন যুদ্ধ বাঁধিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অভিযোগ রাশিয়ার
মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার জিতল বাংলাদেশের সিনেমা
তীব্র তাবদাহে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় নতুন নির্দেশনা
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চায় চীন: ব্লিঙ্কেন

আরও খবর