আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর আত্রাই দিন-রাতে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিংয়ের কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন উপজেলার বাসিন্দারা। বিদ্যুৎ অফিসের তথ্যমতে, উপজেলায় মোট গ্রাহক রয়েছে ৬৪ হাজার ২৫৬ জন।
ফিডার রয়েছে ১২টি এবং সাব-স্টেশন রয়েছে ৩টি। দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা ১৬ মেগাওয়াট। প্রতিদিন সরবারহ হচ্ছে ৫-৮ থেকে ৮-৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। যায় কারণে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। এই লোডশেডিং চলছে পল্লী বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে। প্রতিষ্ঠানটির আওতাধীন উপজেলার চত্বরে দিনে দুই চারবার বিদ্যুৎ গেলেও গ্রামঞ্চল এলাকাগুলোতে দিন-রাত মিলে ৮-১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন গ্রাহকেরা।
উপজেলার হেঙ্গলকান্দী গ্রামের ব্যবসায়ী অভি বলেন, আমাদের এলাকায় প্রতি এক ঘণ্টা পরপর বিদ্যুৎ যায় আর আসে। বিশেষ করে রাতেরবেলা বেশি বিদ্যুৎ থাকেনা। বিলগলিয়া গ্রামের রুবেল হোসেন বলেন, আমার গ্রামের মানুষ বিদ্যুৎ কি তা ভুলেই গেছি, কারণ দিনে তিন ঘন্টা আর রাতে তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিলে নানা বাহানার কথা বলে।
বড়ভিটা গ্রামের শিক্ষক সুজাউদৌলা বলেন, আজ দিনে দুই-তিন বার বিদ্যুৎ গেছে সকাল এগারোটার দিকে গেছে আধাঘণ্টা পর চলে এসেছে, আবার বারোটার দিকে গেছে একঘণ্টা পরে এসেছে।
বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার নির্দিষ্ট সময় নেই। এ বিষয়ে করো দেখারও নেই। পবনডাঙ্গা গ্রামের করিম বলেন, কয়দিন ধরে বিদ্যুৎতের বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে, দিনে এক ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকলে দেড়ঘন্টা থাকেনা। সন্ধ্যাবেলা নামাজে বসলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ওয়ার্কশপ মালিক বলেন, সারাদিন লোডশেডিং। দিনে কতবার কারেন্ট যায় তা বলা মসকিল। লোডশেডিং দেওয়ার কোন সময়সীমা নির্ধারণ নাই। আবার মাঝে মাঝে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং চলে। নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে প্রায় ৮ বিঘা জমিতে ধান রোপন করেছি। একেতো নেই বৃষ্ঠি আবার রয়েছে অনেক লোডশেডিংও যার কারণে জমিতে পানি না থাকায় পরেছি বিপাকে।
ব্যপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল আলীম বলেন, আমরাও চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম পাচ্ছি। ফলে লোডশেডিং একটু বেশি পড়ছে। তবে আশা করছি দ্রত এ সমস্যা কেটে যাবে বলে জানান তিনি।