মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৩০.০২°সে
সর্বশেষ:
কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৬ মাদকের অপব্যবহার প্রতিরোধে নীলফামারীতে কর্মশালা নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে: ইসি আহসান হাবিব এফবিসিসিআই পরিচালকের সাথে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের আলোচনা ইলিশ ধরতে পদ্মা-মেঘনায় নামবে জেলেরা আগামীকাল চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা দেবে এমভি আবদুল্লাহ স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ জিম্বাবুয়ে সিরিজের দল ঘোষণা টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ঢাকায় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল বাংলাদেশের ৫ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ ঘোষণা আত্রাইয়ে তীব্র গরম, দুর্ভোগে শ্রমজীবী মানুষ নানা আয়োজনের বাঙ্গালহালিয়াতে সাংগ্রাঁই জলকেলি উৎসব উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

আজ পয়লা বৈশাখ, স্বাগত বাংলা ১৪৩১

বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যোগ হয়েছে নতুন একটি বছর। আজ (রবিবার) পয়লা বৈশাখ। স্বাগত বাংলা নববর্ষ ১৪৩১। পয়লা বৈশাখে অতীতের সব গ্লানি মুছে বাঙালি ফিরে পায় নবপ্রাণ। বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্র সংক্রান্তি ছিল গতকাল। একই সঙ্গে বাংলা ১৪৩০ সনের শেষ দিন।

বিশ্বের বুকে বাঙালি এক গর্বিত জাতি। পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণে মধ্যে এই স্বজাত্যবোধ ও বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।
কয়েকজন ঐতিহাসিক বাঙ্গলা দিনপঞ্জি উদ্ভবের কৃতিত্ব আরোপ করেন সপ্তম শতকের রাজা শশাঙ্কের উপর। পরবর্তীতে মুঘল সম্রাট আকবর এটিকে রাজস্ব বা কর আদায়ের উদ্দেশ্যে পরিবর্তিত করেন।

ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর সম্রাটরা হিজরী পঞ্জিকা অনুসারে কৃষি পণ্যের খাজনা আদায় করত। কিন্তু হিজরি সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সঙ্গে মিলত না। এতে অসময়ে কৃষকদেরকে খাজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করতে হত। খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জিতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। সম্রাটের আদেশ মতে রাজকীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০ মার্চ বা ১১ মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে ‘বঙ্গাব্দ’ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।

এইবছর বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ (বৃহস্পতিবার) ১৪ এপ্রিল। এই দিনটি সকল বাঙালি জাতির কাছে ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন। সেই হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে বিবেচিত।

কিন্তু গত দুই বর্ষবরণের উৎসব করোনাভাইরাসের মহামারির প্রকোপে ম্লান হয়ে যায়। সকলকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এবার বর্ষবরণের আয়োজন করা হয় রমনা বটমূলে।

এই উৎসব শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তাভাত খাওয়া, হালখাতা খোলা ইত্যাদি বিভিন্ন কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়। বাংলা নববর্ষের শুরুতে সকলে “শুভ নববর্ষ” জানিয়ে শুভেচ্ছা আদানপ্রদান করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করেন সকল শ্রেনিপেশার মানুষ। ২০১৬ সালে, ইউনেস্কো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত এই উৎসব শোভাযাত্রাকে “মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে ঘোষণা করে। এই উৎসবে নতুন বস্ত্র পরার রীতি রয়েছে।

পয়লা বৈশাখ বাঙালির একটি সার্বজনীন লোকউৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্যাপিত হয় নববর্ষ। এ উপলক্ষ্যে সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৬
মাদকের অপব্যবহার প্রতিরোধে নীলফামারীতে কর্মশালা
নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে: ইসি আহসান হাবিব
ইলিশ ধরতে পদ্মা-মেঘনায় নামবে জেলেরা
আগামীকাল চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা দেবে এমভি আবদুল্লাহ
স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ

আরও খবর