শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৭.০৭°সে
সর্বশেষ:
হিটলারের সেনা সদরদপ্তরে মিলল হাত-পা ছাড়া ৫ কঙ্কাল ‘খামারি অ্যাপস ব্যবহারে কমবে খরচ, বাড়বে ফসলের উৎপাদন’ বিলুপ্ত হবে স্মার্টফোন, দাবি গবেষকদের যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গ্রেফতার ২২০০ ছাড়াল লংগদু প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি সাংবাদিক ওমর ফারুক মুছা আর নেই বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ‍উপলক্ষ্যে কুমিল্লার ৭ সাংবাদিককে ফুলের মালা পড়িয়ে সম্মননা প্রদান কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আদালতকে যা যা বললেন মিল্টন সমাদ্দার নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি রাশেদা যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলন, বাইডেন কেন চুপ? যুক্তরাষ্ট্রে ২ বাংলাদেশী হত্যার আসামি গ্রেফতার,জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তদন্ত হবে: ডিবিপ্রধান

সাত মাস পর সঞ্চয়পত্র থেকে ধার নিল সরকার

অনলাইন ডেস্ক:
সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ৩৫ হাজার কোটি টাকা হলেও এর ধারেকাছে যেতে পারেনি। উল্টো ১০ মাসে এ খাতে আগের ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে তিন হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। যদিও ৭ মাস পর গত এপ্রিলে সঞ্চয়পত্র থেকে ৫৮২ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে সরকার।

জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের নানা নীতির কারণে এ খাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। যদিও সরকারের ঋণের বোঝা থেকে বাঁচতে এমন পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অনেকে। তবে অর্থবছরের শেষ সময়ে বাজেট বাস্তবায়নে এ খাত থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে সরকারকে।

চলতি অর্থবছরের শুরুতে সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধের লক্ষ্যমাত্রা ৭৩ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা। কিন্তু অর্থবছর শুরু দুই মাস পর থেকে সঞ্চয়পত্র থেকে কোনো ঋণ নিতে পারেনি। উল্টো এ খাতের ঋণ ও সুদ পরিশোধ করতে হয়েছে সরকারকে। এ জন্য সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৮০ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।

জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৬৮ হাজার ৩৮ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সরকার। আর এই খাতের মোট পরিশোধ করেছে ৭১ হাজার ৬১৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ ১০ মাসে ৩ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা অতিরিক্ত পরিশোধ করতে হয়েছে সরকারকে।

গত এপ্রিলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৩৮১ কোটি টাকার। মূল ও মুনাফা বাবদ পরিশোধ করতে হয়েছে ৪ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত মাসে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নিয়েছে ৫৮২ কোটি টাকা বেশি। ২০২২ সালের এপ্রিলে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১৪ কোটি টাকা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংক আমানত বা অন্য কোন বিনিয়োগের চেয়ে সঞ্চয়পত্রকে নিরাপদ বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ। এতে সুদের হারও অন্য খাতগুলোর চেয়ে বেশি। তাই এই খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে পড়েন গ্রাহকরা। কিন্তু সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণের বোঝা বেড়ে যাওয়া ও অধিক সুদ পরিশোধ করতে হওয়ায় সরকার এই খাত থেকে ঋণ নেয়া কমানোর পরিকল্পনা নেয়। এ জন্য সুদের হার হ্রাসসহ নানা কড়াকড়ির আরোপ করে। এতে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে যাওয়ার পাশাপাশি পূর্বের ঋণ ও সুদ পরিশোধে সরকারের উপর চাপ তৈরি হয়। ওই চাপ মেটাতেই সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধ করতে হচ্ছে। আর এতে বেড়ে যাচ্ছে সরকারের ব্যাংকঋণের পরিমাণ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, তিনটি কারণে সঞ্চয়পত্র থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। প্রথম কারণ হলো, এখন মানুষের হাতে টাকা কম। ফলে সংসার চালাতে সঞ্চয়ে হাত দিচ্ছেন। দ্বিতীয় হলো, পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগে আয়কর রিটার্নের স্লিপ জমা করতে হচ্ছে। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের অনেকে এ ঝামেলায় যেতে চান না। তৃতীয়ত, বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ সীমা কমিয়ে আনা হয়েছে। ফলে যাদের আগে থেকে বেশি বিনিয়োগ ছিল, তারা মেয়াদপূর্তিতে নতুন করে বিনিয়োগ করতে পারছেন না।

তিনি বলেন, এ ছাড়া প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগ সীমা কমিয়ে আনা ও এনআইডি শর্তের কারণে সেখানে কম বিনিয়োগ হয়েছে। যদিও সম্প্রতি প্রবাসী বন্ডের বিনিয়োগ সীমা ও এনআইডি শর্ত প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের প্রতিবেদন বলছে, গত এপ্রিলে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ৫৮০ কোটি টাকা ঋণ নিলেও এর আগে ৭ মাস এ খাতের ঋণ ও সুদ পরিশোধে মনোযোগী ছিল। গত সেপ্টেম্বর থেকে সঞ্চয়পত্র বিক্রির চেয়ে বেশি ভাঙানো হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে নিট বিক্রির পরিমাণ ঋণাত্মক ছিল ৩ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ৩ হাজার ৬৯ কোটি, ডিসেম্বরে প্রায় ১ হাজার ৪৯১ কোটি, নভেম্বরে ৯৭৮ কোটি ৩৯ লাখ, অক্টোবরে ৯৬৩ কোটি ১৬ লাখ ও সেপ্টেম্বরে প্রায় ৭৩ কোটি টাকা ঋণাত্মক ধারায় ছিল। যদিও অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে সঞ্চয়পত্রের নিট বিনিয়োগের পরিমাণ কিছুটা ইতিবাচক ধারায় ছিল। এর মধ্যে গত আগস্টে সঞ্চয়পত্রের নিট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল আট কোটি টাকা। আর জুলাইয়ে ছিল ৩৯৩ কোটি টাকা।

গত অর্থবছরেও সঞ্চয়পত্র থেকে তুলনামূলক কম ঋণ পেয়েছিল সরকার। পুরো অর্থবছরে ৩২ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে নিট ঋণ আসে ১৯ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা। অথচ করোনার পরও ২০২০-২১ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের নিট বিনিয়োগ হয়েছিল প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা। এটি তার আগের অর্থবছরে ছিল মাত্র ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

‘খামারি অ্যাপস ব্যবহারে কমবে খরচ, বাড়বে ফসলের উৎপাদন’
লংগদু প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি সাংবাদিক ওমর ফারুক মুছা আর নেই
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ‍উপলক্ষ্যে কুমিল্লার ৭ সাংবাদিককে ফুলের মালা পড়িয়ে সম্মননা প্রদান
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আদালতকে যা যা বললেন মিল্টন সমাদ্দার
নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি রাশেদা
হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

আরও খবর