আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অভাবের সংসার, চরম অনটনে চলে। একমাত্র কন্যা সন্তানের বিয়ের জন্য গয়না গড়ে রাখা প্রয়োজন- বারবার এমনটি বলে স্বামীকে একটি কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করেন স্ত্রী। পরে কিডনি বিক্রির সব অর্থ নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে চম্পট দেন তিনি। সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার সাঁকরাইল ব্লকের ধুলাগড় হাটতলায় এলাকায়। খবর ইন্ডিয়া টুডে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পিন্টু বেজ তার স্ত্রী সুপর্ণা বেজের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, বছর চল্লিশের পিন্টু বেজের সঙ্গে সুপর্ণা বেজের প্রেম করে বিয়ে হয় ১৬ বছর আগে। এরপর তাদের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। ভবিষ্যতে নিজেদের নাবালিকা কন্যার বিয়ে ও ভালো পড়াশোনার জন্য এখন থেকেই সোনার গয়না গড়ে রাখতে হবে- এমন কথা স্বামীকে বারবার বলে তার একটি কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করেন সুপর্ণা বেজ। সেই কিডনি বিক্রি করে ১০ লাখ রুপি পায় বেজ দম্পতি।
এরপরেই কিডনি বিক্রির অর্থ এবং ঘরে থাকা সোনার গহনা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে চম্পট দেন ৩৫ বছর বয়সি সুপর্ণা বেজ।
পিন্টু প্রথমে তার স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করেন থানায় এবং স্ত্রীকে ফিরে পেতে কলকাতা হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস মামলা করেন। এ ক্ষেত্রে নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তি বা নারীকে খুঁজে এনে আদালতে হাজির করানোর দায়িত্ব পুলিশের।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, হেবিয়াস কর্পাস মামলায় পুলিশের দেওয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে সুপর্ণা বেজ লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন এবং তার প্রেমিকের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকছেন। কেউ তাকে জোর করে কিছু করায়নি।
এখন যেহেতু ওই নারীর খোঁজ পাওয়া গেছে এবং তিনি স্বেচ্ছায় স্বামীকে ছেড়ে যাওয়ার কথা মুচলেকা দিয়ে জানিয়েছেন, তাই এ ক্ষেত্রে আর হেবিয়াস কর্পাসের আবেদন কার্যকর হবে না।
Publisher: voiceofnewjersey LLC, USA.
Editor: Masud Alam Chowdhury
© কপিরাইট ২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত