জবি প্রতিনিধি
রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে আন্দোলনরত বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ পরিস্থিতিতে কলেজে চলমান অনার্স প্রথম বর্ষের ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আজ রবিবার দুপুর দেড়টা থেকে ৩টা পর্যন্ত এ হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় বই, আসবাবপত্র, ব্যক্তিগত গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সোহরাওয়ার্দী কলেজের ভেতরে শিক্ষকের ব্যক্তিগত গাড়ি, একটি অ্যাম্বুলেন্স, দুইটি বাইক ধ্বংসাবস্থায় পড়ে আছে। এ ছাড়া প্রত্যেকেটি অফিসকক্ষ ভাঙচুর করে মালামাল লুটপাট করা হয়েছে।
জানা যায়, চিকিৎসায় গাফলতিতে সহপাঠীর মৃত্যু, মরদেহ আটকে রাখা ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ঘেরাও করে বিভিন্ন কলেজের ইন্টারমিডিয়েটে পড়া শিক্ষার্থীরা। এ সময় কলেজের প্রধান গেট ভাঙচুর করা হয়। এরপর সোহরাওয়ার্দী কলেজের দিকে গেলে শুরুতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সোহরাওয়ার্দী কলেজের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সোহরাওয়ার্দী কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক শাহানাজ সিদ্দিকা বলেন, ‘আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। কিন্তু ১টার দিকে হঠাৎ হামলা শুরু হয়। আমরা দুপুর ১ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত কলেজে অবরুদ্ধ ছিলাম। নিচে আমরা কোনোমতে একটা জায়গায় লুকিয়ে ছিলাম। পরে দুইতলায় উঠেছি।’
সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বারবার সাহায্য চেয়েছি। কিন্তু তারা শুধু বলেছে তারা ন্যাশনাল মেডিকেলে আছেন। কয়েকজন পুলিশ এসেছিল, তারা পর্যাপ্ত ছিল না। আমরা বারবার সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়েছি, কিন্তু সেটা পাইনি। আমরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছি, আমি দুঃখিত।’