রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন।রবিবার (২৮ মে) বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত উপাচার্যের কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে তার পদত্যাগ, নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগ ও পদোন্নতির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন অন্তত ৮০ জন শিক্ষক। তাদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
এদিন রাতে তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুস সালাম সেতু।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, গত বছরের ৩ জুলাই থেকে চলতি দায়িত্বের উপাচার্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চলছে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়ায় পদোন্নতি পাচ্ছেন না এসব শিক্ষক। বর্তমান উপাচার্যের নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষমতা না থাকায় শিক্ষকদের পদোন্নতি হচ্ছে না। ফলে চলতি দায়িত্বের উপাচার্যের পদত্যাগ ও নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে সমস্যার সমাধানের দাবি তোলেন তারা।
পদত্যাগের বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেনকে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।
তবে দুপুরে শিক্ষকদের আন্দোলনের বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। উপসচিব জানিয়েছেন, চলতি দায়িত্বের উপাচার্যের পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষমতা নেই। ফলে নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের পদোন্নতি দেওয়া সম্ভব নয়।’
প্রসঙ্গত, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সেখের মেয়াদ শেষ হয় গত বছরের ৩০ জুলাই। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিতবিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের ডিন সাজ্জাদ হোসেনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন উপাচার্য করা হয়। তখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
গত কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা পদোন্নতি, উপাচার্যের পদত্যাগ এবং নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।