অনলাইন ডেস্ক:
প্রবল ঝড়, ভারি বৃষ্টি আর তুষারপাতে লণ্ডভণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া। লস অ্যাঞ্জেলেসের বৃষ্টিপাত প্রায় ১০০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। হিমশীতল ঠান্ডা আর তুষারপাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে। নয়া করে বন্যা আর ভূমিধসে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। জারি আছে জরুরি অবস্থা।
গত কয়েক দিনের ঝড়, বন্যা আর তুষারপাতে অনেকটাই তছনছ হয়ে গেছে ক্যালিফোর্নিয়া। স্মরণকালের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত অঙ্গরাজ্যটি। সীমাহীন বিপর্যয়ের মুখে সেখানকার জনজীবন। দুর্যোগ মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
ঝড় ও বজ্রপাতের কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির সবগুলো সমুদ্র সৈকত। একইসাথে চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় বন্ধ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি মহাসড়ক। অচলবস্থা দেখা দিয়েছে স্থানীয় বিমানবন্দরেও। বাতিল করা হয়েছে বেশ কিছু ফ্লাইট। পরিবর্তন করা হচ্ছে বিমানের পূর্ব নির্ধারিত সময় সূচিও।
এছাড়া, বিদ্যুৎহীন প্রায় সাত লাখ মানুষ। ভারি বৃষ্টিতে নতুন করে বন্যা ও ভূমিধসে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যাও। দুর্গত এলাকায় আটকেপড়াদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে চলছে উদ্ধারকাজ। এরই মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেসে ৯৭ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে গেল ২৪ ঘণ্টায় চার দশমিক এক ইঞ্চি বা দশ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের কেন্দ্রে একবারে যা বৃষ্টি হয়েছে, তা ছয় মাসের সমান।
বন্যা ও ভূমিধস থেকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। হলিউড হিল এলাকা থেকে সান্তা মোনিকার পাহাড়ি এলাকা পর্যন্ত বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। পানিতে তলিয়ে আছে সান ফ্রান্সিসকো বে এলাকার রাস্তাঘাট। পাহারি ভূমিধসে বিখ্যাত হলিউডের অভিজাত বাড়িতে কাদামাটির স্রোত ঢুকে যাওয়ায় বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন অনেকে।ক্যালিফোর্নিয়ার এ দুযোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে দায়ী করছেন আবহাওয়াবিদরা। সূত্র-সিএন