শনিবার, ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -২.৩৮°সে

লন্ডনে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের পুনর্মিলনী

অনলাইন ডেস্ক:
ব্রিটেনে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের আরেকটি পুনর্মিলনী হয়ে গেল প্রায় এক যুগ পর। গত মে মাসের ২০ তারিখে লন্ডনের ওয়ানস্টেড ইয়ুথ সেন্টারে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রিটেনে বসবাসরত আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের সামাজিক সংগঠন আমুয়াব (আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি এল্যুমনাই, বাংলাদেশিজ ইন ব্রিটেনে পুনর্মিলনীর আয়োজন করে।

পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। কোরআন তেলাওয়াত করেন ১৯৯৫ ব্যাচের আইনুল ইসলাম।

১৯৯১ ব্যাচের প্রফেসর তৈমুর শরীফ উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানান এবং মিলনমেলাকে ঘিরে ব্রিটেনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জড়ো হওয়া আলিগ ভাই-বোন ও পরিবারবর্গকে তাদের বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা এবং অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

স্বাগত ভাষণে তিনি সংগঠনের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনা তুলে ধরেন। সামগ্রিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন ১৯৯৩ ব্যাচের ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সোলায়মান এবং ১৯৯৬ ব্যাচের ফরহাদ হোসেন।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে শুরু হয় একে একে পরিচয় আর স্মৃতিচারণ। অনেকের সাথে দেখা প্রায় ২০-৩০ বছর পর। স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে অনেকে ফিরে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই মধুর দিনগুলোয়, চলছিল গল্প আর ছবি তোলা আর ঘরে বানানো ফুচকা-চটপটি, চাসহ হরেক রকম মুখরোচক খাবার; সে এক মনে রাখার মতো অপরাহ্ন। শিশুদের জন্য ছিল চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, ফেস পেন্টিংসহ বিভিন্ন খেলার আয়োজন।

আলোচনাপর্বে এল্যুমনাই সদস্যরা ভবিষ্যতে সংগঠনকে কীভাবে আরও একতাবদ্ধ এবং গতিময় করা যায় সে বিষয়ে মতবিনিময় করেন। আলোচনার অন্যতম বিষয় ছিল ২০২৫ সালে মোহামেডান অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজের ১৫০তম বার্ষিকী উজ্জাপন নিয়ে পরিকল্পনা। (মোহামেডান অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ ১৮৭৫ সালে স্থাপিত যা ১৯২০ সালে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়) সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে প্রতিবছর স্যার সৈয়দ ডের উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে নিয়মিত বাত্সরিক পুনর্মিলনী আর আলোচনা সভার আয়োজন করা।

সান্ধ্যকালীনপর্বের আকর্ষণ ছিল সদস্যদের মধ্যে পুনর্মিলনীর ক্রেস্ট, টি-শার্ট বিতরণ আর বুফে ডিনার! তারপর সবাই জড়ো হয় মেইন হল রুমে ট্র্যাডিশনাল কেক কাটা পর্বে।

পরিশেষে, ১৯৯৪ ব্যাচের গাজী মামনুন হাসান অংশগ্রহণকারীদের পক্ষে ড. তৈমুর (১৯৯১), রাতুল (১৯৯৩), সোলায়মান (১৯৯৩), জুয়েল (১৯৯৪), ফরহাদ (১৯৯৬), তানভীর (১৯৯৬) এবং পলি (১৯৯৬) কে অনুষ্ঠানের সফল আয়োজন এবং পরিসমাপ্তির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

সিডনিতে বাংলাদেশি তরুণীকে হত্যায় স্বামীর সাড়ে ২১ বছর দণ্ড
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপন
বহুমত ও পথের রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে: তারেক রহমান
ইসকনকে ‘জঙ্গি সংগঠন’ বললেন প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা
লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
নিউইয়র্কে ‘বাংলাদেশ সোসাইটি’র বিজয় উৎসবে সামগ্রিক কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ থাকার সংকল্প

আরও খবর