1. editorvonj@gmail.com : admin :
  2. nagorikit@gmail.com : administrator :
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পুরোনো সম্পর্ক আর নেই: কানাডার প্রধানমন্ত্রী - Voice of New Jersey
লিড নিউজ
শিরোনামঃ
বিএনপির চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানে সুস্থতা চেয়ে সুনামগঞ্জে শতাধিক এতিম শিশুর মাঝে ঈদের নতুন জামাকাপড় তুলে দেন এড. নুরুল ইসলাম নুরুল ফিলিস্তিনিদের রক্তাক্ত ঈদ, ইসরাইলি বোমা হামলায় নিহত ২০ ঈদের শুভেচ্ছা যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বিধ্বস্ত, আরোহীদের সবাই নিহত রমজানে মক্কা-মদিনায় ওমরা করেছেন প্রায় ১২ কোটি ২৩ লাখ মুসল্লি ময়মনসিংহে ট্রাপচাপায় দুই বোনসহ নিহত ৪ সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে বৌলাই নদীতে নৌকাডুবি নিহত-৪ আহত-১০ ঢাকায় কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, একসঙ্গে ৩ ভাইয়ের মৃত্যু ড. ইউনূসকে ৫ বছর ক্ষমতায় দেখতে চান সারজিস

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পুরোনো সম্পর্ক আর নেই: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫
  • ১২ বার দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা পুরোনো সুসম্পর্ক আর নেই। অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে যে সম্পর্ক ছিল তা এখন অতীত। বৃহস্পতিবার অটোয়ায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি।

বিবিসির প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রী কার্নির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত শুল্কের মুখে কানাডাকে নিজের অর্থনীতিকে মৌলিকভাবে পুনর্বিবেচনা করতে হবে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্কারোপের হুঁশিয়ারিও দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে অটোয়া, যা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সর্বোচ্চ প্রভাব ফেলবে।

এর আগে, বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা গাড়ি এবং যানবাহনের যন্ত্রাংশের ওপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প এবং বলেন, ‘এটি স্থায়ী সিদ্ধান্ত’। যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি রপ্তানিকারক শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে—মেক্সিকো, কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও জার্মানির মতো ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ অংশীদার ও মিত্র।

তাই ট্রাম্পের এই ঘোষণায় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ দেশগুলো। ঘোষণার পর সেদিনই প্রতিক্রিয়া জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। এই পদক্ষেপকে কানাডার শ্রমিকদের ওপর ‘সরাসরি আঘাত’ বলে অভিহিত করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনেও এই ইস্যু উঠে আসে। ১৯৬৫ সালে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যানবাহনের যন্ত্রাংশ নিয়ে একটি চুক্তি হয়, যেটিকে তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি বলে উল্লেখ করে কার্নি বলেন, ‘ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে এটা শেষ!’

তবে, মার্কিন শুল্ক সত্ত্বেও কানাডা একটি টেকসই গাড়ি শিল্প ধরে রাখতে পারবে বলে আশাবাদী এই নেতা। তিনি বলেন, সরকার ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায় যদি একসঙ্গে কাজ করে তাহলে এই শিল্পের পুনর্গঠন অসম্ভব নয়।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, কানাডাকে এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে, যা কানাডীয়রাই নিয়ন্ত্রণ করবে। এর জন্য অন্য অংশীদারদের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শক্তিশালী বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় থাকবে কি না, তা এখন অনিশ্চিত।

আগামী ২৮ এপ্রিল কানাডায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। ভোটের লড়াইয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ট্রাম্পের এই শুল্ক। শুল্ক মোকাবিলায় কোন দল কেমন পদক্ষেপ নিতে চাইছে এবং তা কতটা বাস্তবসম্মত—এসব কাজ করছে ভোটার টানার প্রভাবক হিসেবে।

সব দলই এখন তাদের প্রচারাভিযানে এ ইস্যুতেই জোর দিচ্ছে।

যানবাহন ও যানবাহনের যন্ত্রাংশ আমদানিতে আগামী ২ এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে ট্রাম্পের নতুন শুল্ক। ইতিমধ্যে অ্যালুমিনিয়াম, ইস্পাতসহ কিছু কানাডীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রায় ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে কানাডা।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT