আল আমিন মিলন,আত্রাই,প্রতিনিধি: উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার হিসাবে খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ের হাট-বাজার গুলো শীতকালীন তাজা সবজিতে ভরপুর হলেও দাম অনেক বেশি। ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য বছর শীতের এই সময়ে সবজি হাতের নাগালে থাকলে এবার শীতের কাঁচাবাজারে ছড়িয়েছে উত্তাপ। ফলে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
শনিবার উপজেলার ভবানীপুর-মির্জাপুর হাটসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, নতুন আলু প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। শসা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ৩০ থেকে ৪০, পুঁইশাক ২০ থেকে ২৫, শিম ১০০, কাঁচা মরিচ ১০০, বরবটি ৮০ থেকে ১০০, সাদা বেগুন ৬৫ থেকে ৭০ ও মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। টমেটো ৬০ থেকে ৮০, আদা ১৮০, রসুন ২১০ থেকে ২৩০, শিম ৮০, মটরশুঁটি ১০০ থেকে ১৩০, করলা ১০০, কাঁকরোল ৫০ টাকা।
উপজেলার ভবানীপুর বাজারের ব্যবসায়ী নয়ন বলেন, এবার পাইকারি বাজারে সবজির দাম কিছুতেই কমছেই না। এতে আমরাও কমিয়ে বিক্রি করতে পারছি না।
বাজারে সবজি কিনতে আসা সাব্বির আহমেদ নামের এক ক্রেতা বলেন, শীতের সময় সবজির দাম কম হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শীতকালীন সবজিতে বাজার ভরপুর হলেও সবজি চড়া দাম কেন? এত টাকা দিয়ে সবজি কিনে পরিবার চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে।
উপজেলার চৌবাড়ি থেকে বাজার করতে আসা মো. জব্বার বলেন, বাজারে সব কিছুর দাম বেশি। মনে হচ্ছে আমদানি কম হওয়ার কারণে জিনিসপত্রের দাম বেশি। তাছাড়া বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ না থাকার কারণে দেশি পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি।
অপরদিকে বিক্রেতারা বলছেন, সব ধরনের সবজির দাম তুলনামূলক বেড়েছে। কৃষকের সবজি উৎপাদনে খরচ বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে শাক-সবজির দাম বেশি।
ভবানীপুর বাজারের ব্যবসায়ী দেল মোহাম্মদ বলেন, সবজির দাম অন্যবারের তুলনায় বেশি। তবে সরবরাহের বড় কোনো ঘাটতি নেই।
তিনি আরও বলেন, আবহাওয়ার কারণে শীতের সবজিতে কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এজন্য আগের তুলনায় সবজির দাম একটু বেড়েছে। তবে আশা করছি ১০-১২ দিনের মধ্যে সবজির দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে।