অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের ২০টি জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব এলাকার নদীবন্দর এবং উপকূলীয় এলাকা ও চার সমুদ্রবন্দরে ঝড়ের আশঙ্কা থাকায় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, রাজশাহী, পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী দুই দিনে ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে।
গতকাল মঙ্গলবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস সৈয়দপুরে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস কুতুবদিয়ায়। এদিন দেশে সর্বোচ্চ ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সন্দ্বীপে।
এদিকে মঙ্গলবার আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় বলা হয়, উত্তর উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে ছত্তিসগড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়া যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।