অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এবার টুইট করেছেন জাতিসংঘের র্যাপোর্টিয়ার। জাতিসংঘ বরাবরই বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলে আসছে। নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে এবার বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার ক্লেমা নালেতসোভি ভুলে।
এক টুইট বার্তায় বাংলাদেশের নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের পরিবেশ দমনমূলক। এতে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকার বিষয়ক এই র্যাপোর্টিয়ার বলেছেন, রাজনৈতিক কর্মী এবং সুশীল সমাজের ওপর দমন-পীড়ন অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য তারা বার বার আহ্বান জানিয়েছেন। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে যে দমনমূলক পরিবেশ তৈরি হয়েছে তাতে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলেও মন্তব্য করেছেন।
তিনি শনিবার তার অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সুশীল সমাজ ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ এবং পুলিশের মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বন্ধ করার জন্য তারা আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছেন। নির্বাচনের আগে, চলাকালীন এবং পরে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং সংগঠন করার অধিকার এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
এদিকে, ডিসেম্বরের শেষ দিকে জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের অবস্থান আগের মতোই রয়েছে।
ব্রিফিংয়ে স্টিফেন ডুজারিককে প্রশ্ন করা হয় যে , বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনরা আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন করতে যাচ্ছে। জাতিসংঘ কি বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আহ্বান জানাবেন, নাকি গণতন্ত্রে ফিরে যেতে জাতিসংঘ মহাসচিব ব্যক্তিগত কোনো উদ্যোগ নেবেন।
জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, জাতিসংঘ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে। এটা এমন একটি নির্বাচন হতে হবে, যেখানে মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচনের পর তাদের কিছু বলার থাকতে পারে। তবে নির্বাচন নিয়ে তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত আছে।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক নাশকতার ঘটনা নিয়েও স্টিফেন ডুজারিকের কাছে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশে একের পর এক যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর ঢাকাগামী একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় এক নারী, তিন বছরের এক শিশুসহ চারজনের প্রাণ গেছে। নির্বাচনের আগে এমন রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় অগ্নিসংযোগের শিকার ভুক্তভোগীদের নিয়ে কি জাতিসংঘ উদ্বিগ্ন? এ প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ হারানো সবার প্রতি তার সমবেদনা রয়েছে। তিনি মনে করেন, এসব ঘটনার পেছনে কারা জড়িত, যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে তা খুঁজে বের করা এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।