অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এছাড়া দেশটির সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্কোন্নয়নে সমঝোতায় পৌঁছার কথা জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিজিটিএন। বেইজিংয়ের গ্রেট হলে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, অতীতের অর্জন এবং আগামীর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য এ সমঝোতা চীন-ফিলিস্তিন সম্পর্কে মাইলস্টোন হয়ে থাকবে।
সিজিটিএন বলছে, চীন-ফিলিস্তিনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। শি জিনপিংয়ের স্মরণে আছে- চীন প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে একটি।
বৈঠকে দুই দেশের প্রধান নিজেদের ভালো বন্ধু-সঙ্গী হিসেবে অভিহিত করেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহায়তা আরও বৃদ্ধির আশা প্রকাশ করেন। জিনপিং আব্বাসকে প্রতিশ্রুতি দেন, চীন ফিলিস্তিনিদের মানবিক দুর্ভোগ কমাতে এবং দেশটি পুনর্গঠনে সাধ্যমতো সহায়তা করে যাবে।
আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকে ফিলিস্তিন সংকট সমাধান নিয়ে চীনের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন জিনপিং। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিজিটিএনের প্রতিবেদনে বলা হয়- ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকে ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে তিনটি প্রস্তাব দিয়েছেন জিনপিং।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিন সমস্যা টানা অর্ধশতাব্দী ধরে চলছে; যা ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য ভীষণ কষ্টকর। দ্রুত ফিলিস্তিনকে ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।
শি জিনপিং এক্ষেত্রে তিনটি প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রথমত, ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানের মূল পথ হলো ১৯৬৭ সালের সীমারেখার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে সম্পূর্ণ সার্বভৌম স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। দ্বিতীয়ত, ফিলিস্তিনের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের উচিত ফিলিস্তিনকে সাহায্য ও মানবিক সহায়তা দেওয়া। তৃতীয়ত, আলোচনার সঠিক পথ অনুসরণ করা।
ফিলিস্তিনের পক্ষে সোচ্চার আছেন জানিয়ে জিনপিং বলেন, ঐতিহাসিকভাবে অন্যায়ের শিকার হওয়া ফিলিস্তিনিদের কথা উপেক্ষা করা যাবে না। তাদের যে স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবি, সেটি অস্বীকার করা উচিত নয়। ফিলিস্তিনের শান্তি গোটা পশ্চিম এশিয়ার (মধ্যপ্রাচ্য) স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন চীনের প্রেসিডেন্ট।