হাছিবুল ইসলাম সবুজ, কুবি:
সম্প্রতি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের ঘটনায় নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ক্যাম্পাস অংশের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (০৬ জুন) দুপুর ২টায় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একাডেমিক ভবনের সড়কের সামনে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা।
এসময় নেতাকর্মীরা ‘সন্ত্রাস হটাও, বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও’, ‘সন্ত্রাসমুক্ত নিরাপদ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় চাই’, ‘সন্ত্রাসবাদের বিষদাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন।
সমাবেশে নেতাকর্মীরা বলেন, ‘কুবি শাখা ছাত্রলীগ সবসময় অন্যায়, অবিচার ও সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে ছিলো। এছাড়া সাংবাদিক সংগঠনের অফিসে যে ভাঙচুর হয়েছে আমরা তার প্রতিবাদ জানাই। যারা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এ সময় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘আজকে আমরা দাঁড়িয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সন্ত্রাসীদের বিপক্ষে। যারা বঙ্গবন্ধু হলে ভাঙচুর থেকে শুরু করে প্রক্টর অফিসে হামলা, ভর্তি পরীক্ষার সময় বিশৃঙ্খলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ভাঙচুর, সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, সাংবাদিক সংগঠনের অফিসে ভাঙচুর করেছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা এসব সন্ত্রাসকে বয়কট করেছে। আমরা সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস চাই।’
কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান পলাশ বলেন, ‘কিছু অছাত্র ও বহিরাগত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস, সাংবাদিক সংগঠনের অফিসসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে আসছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া ছাত্র সংগঠন। বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের সাথে গভীর সম্পর্ক রক্ষা করতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে লালিত কোন কর্মী এসব অপকর্মে লিপ্ত হতে পারে না।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি রুদ্র ইকবালকে হেনস্তা করেন ছাত্রলীগের সাবেক এবং বর্তমান নেতাকর্মীরা। এসময় কর্মরত সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্য সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রেজা-ই -এলাহী দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে বলেন ‘গুণ্ডামির কি দেখেছো? সাংবাদিকরা এখনও আমাকে চিনে না, আমি কে?’ ‘এই ক্যাম্পাস কারো বাপের না।’ এদিকে ঘটনার জেরে রবিবার (৪ জুন) রাতে সাংবাদিক সমিতির অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এছাড়াও চলতি পথে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।