আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহর নিহতের পর একটি বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে সিএনএন।মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি যুক্তি দিয়ে বলেছে, ইসরাইল এই হত্যাকাণ্ডকে একটি সাফল্য হিসেবে দেখালেও, বাস্তবতা হলো- হিজবুল্লাহ নিজেদের পুনর্গঠন করে নতুন নেতা নিয়োগ করবে এবং তাদের প্রতিরোধ সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।
শুক্রবার রাতে বৈরুতের দক্ষিণে ইসরাইলি বিমান হামলায় নাসরুল্লাহর শাহাদাতবরণ করেন। হিজবুল্লাহ শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করার একদিন পর সিএনএন তাদের এই বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে।
সিএনএনের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ‘নাসরুল্লাহর হত্যাকাণ্ড ইসরাইলের জন্য একটি বড় সাফল্য। তবে এই হত্যাকাণ্ডের পরও হিজবুল্লাহকে নিঃশেষ করে দেওয়া সম্ভব নয়’।
প্রতিবেদনটিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অতীতেও ইসরাইল হিজবুল্লাহ নেতাদের হত্যার চেষ্টা করেছে। তাতেও তাদের প্রতিরোধ সংগ্রাম থেমে থাকেনি। উদাহরণস্বরূপ, ২০০৮ সালে ইসরাইল সিরিয়ার দামেস্কে হিজবুল্লাহর সামরিক নেতা ইমাদ মুঘনিয়াকে হত্যা করেছিল। তারপরেও হিজবুল্লাহ আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
এছাড়া হামাসের বিষয়ে সিএনএনের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালে ইসরাইল হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনকে হত্যা করলেও সংগঠনটি ধসে পড়েনি। প্রায় দুই দশক পরেও হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে অক্টোবর ৭-এর ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’ পরিচালনা করেছে।
সিএনএন ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানির হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিও উল্লেখ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। আর এ হত্যাকাণ্ডের পরও ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব একটুও কমানো যায়নি। উলটো হিজবুল্লাহ, হামাস এবং ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ এখনও ইসরাইলি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনে যাচ্ছে।
সিএনএন বলেছে, ‘নাসরুল্লাহর হত্যাকাণ্ড ইসরাইলের জন্য একটি সাফল্য হলেও হিজবুল্লাহ চার দশকের পুরোনো সংগঠন। ইতিহাস বলছে, তারা নিজেদের পুনর্গঠন করে তাদের প্রতিরোধ লড়াই অব্যাহত রাখবে’।