স্পোর্টস ডেস্ক:দুর্দান্ত শুরুর পর কিছুটা ব্যাকফুটে পড়েছিল নিউজিল্যান্ড, সেটা কাটিয়ে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ওপেনার উইল ইয়ং ও পাঁচ নম্বরে নামা টম ল্যাথাম। ব্যাট হাতে স্বভাবগত ঝড় তুলেছেন গ্লেন ফিলিপস। তাতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানের সামনে ৩২১ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য রাখল নিউজিল্যান্ড।
করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আজ টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠান পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। প্রথম ৬ ওভারে নান্দনিক ব্যাটিংয়ে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৩৩ রান তুলে বড় রান তোলার আভাস দেয় কিউইরা। তবে এরপর পাকিস্তান বোলাররা চেপে ধরে মিচেল স্যান্টনারের দলকে। ৭৩ রান তুলতেই ফিরিয়ে দেয় ডেভন কনওয়ে, কেন উইলিয়ামসন ও ড্যারিয়েল মিচেলকে। এরপরই ল্যাথামকে নিয়ে দুর্দান্ত জুটি গড়েন ইয়ং।
প্রথম দলীয় শতরান পূর্ণ করতে ১৩৫ বল খরচ করে নিউজিল্যান্ড। পরের এক শ করতে দলটি ব্যয় করে ১০১ বল। আর শেষ ১২০ রান করতে দলটি ব্যয় করে স্রেফ ৬৪ বল। চতুর্থ উইকেটে ইয়ং ও ল্যাথাম যোগ করেন ১১৮ রান। ৫৬ বলে ফিফটি আদায় করা ইয়ং শেষ পর্যন্ত করেন ১১৩ বলে ১০৭ রান। ওয়ানডেতে এটি তার চতুর্থ সেঞ্চুরি, বিদেশের মাটিতে প্রথম।
ইয়ং-ল্যাথামের জুটি ভাঙার পর ব্যাটিংয়ে আরও মারমুখী হয় নিউজিল্যান্ড। পঞ্চম উইকেটে মাত্র ৭৪ বলে ১২৫ রান যোগ করেন ল্যাথাম ও ফিলিপস। এর মধ্যে একটু বেশিই আগ্রাসী ছিলেন ফিলিপস। ৩৪ বলে ফিফটি করা এই তারকা থামেন ৩৯ বলে ৬১ রান করে। ৩টি চারের পাশাপাশি হাঁকান ৪টি ছক্কা। তার আগেই অবশ্য ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নেন ল্যাথাম। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে মাত্র পঞ্চমবারের মতো একই ইনিংসে দুইটি সেঞ্চুরি দেখা গেল। শেষ পর্যন্ত ১০৪ বলে ১১৮ রানে অপরাজিত থাকেন ল্যাথাম। ১০টি চারের পাশাপাশি হাঁকান ৩টি ছক্কা। তাতে নিউজিল্যান্ড তোলে ৩২০ রানের বড় সংগ্রহ।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে কেউই কিউই ব্যাটারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেননি। নাসিম শাহ ও হারিস রউফ ২টি করে উইকেট নিলেও তারা ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ছয়ের ওপরে। হারিস তো ১০ ওভারে হজম করেছেন ৮৩ রান! ১০ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে মান রেখেছেন লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ।
Publisher: voiceofnewjersey LLC, USA.
Editor: Masud Alam Chowdhury
© কপিরাইট ২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত