খুলনা প্রতিনিধি:
১১ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ১০:০০ ঘটিকায় কেএমপি’র সদর দপ্তরস্থ পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম সভাপতিত্বে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত সকলকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি খুলনা মহানগরীর জঙ্গী ও সন্ত্রাস, মাদক, মানব পাচার, চাঁদাবাজি প্রতিহত সহ হত্যা, ডাকাতি, দস্যুতা, গণধর্ষণ, অপহরণ এবং গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর মামলাসমূহের নিবিড়ভাবে তদন্ত করতে সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন। যে কোন ধরণের ফৌজদারি আপরাধ সংঘটন ও অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে সংশ্লিষ্ট অফিসারদেরকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন। সকল পদমর্যাদার অফিসার-ফোর্সকে ডিসিপ্লিন মেনে চলতে এবং অনাকাঙ্খিত চলাফেরার কারণে যেন পুলিশ ডিপার্টমেন্টের বদনাম না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে নির্দেশনা দেন।
তিনি বক্তব্যে বলেন, “খুলনা মহানগরী এলাকায় মাদক সংক্রান্ত কোন অভিযোগ শুনতে চাই না। এজন্য মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের তালিকা অনুযায়ী মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী, জুয়াড়ি, দেহ ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলমান থাকবে। কেএমপি’র আওতাধীন এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটলে দ্রুততার সাথে মামলা রুজু করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে চোরাই মালামাল উদ্ধার করতে হবে। মহানগরী এলাকায় চুরি বন্ধে টহল পুলিশ নাইট গার্ডদের সতর্ক করবে পাশাপাশি থানা এলাকায় টহল ও মোবাইল ডিউটি কালীন সময়ে লাইট ও বাঁশি ব্যবহার করতে হবে। প্রত্যেকে অভিযানের ক্ষেত্রে সর্তক থেকে বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করতে হবে। কেএমপি’র যে কোনো থানায় আগত সেবা প্রত্যাশীদের কাঙ্খিত সেবা প্রদান করতে হবে। সকল থানার রুজুকৃত চাঞ্চল্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ মামলা সমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে এবং যে কোন অপরাধ মোকবেলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।” অত:পর কেএমপিকে সবাই মিলে একটি চমৎকার গতিশীল ইউনিটে পরিণত করতে তৎপর আছেন মর্মে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার অপরাধ পর্যালোচনা সভার শুরুতে আইজিপি কর্তৃক প্রেরিত বিশেষ পুরস্কার সংশ্লিষ্ট অফিসার ও সংশ্লিষ্ট ফোর্সদের হাতে তুলে দেন। এছাড়াও, কেএমপি’র আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী কামাল হোসেন; পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ; হরিণটানা থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) সনজিৎ কুমার ঘোষ; গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ এমদাদুল হক; খুলনা থানাএসআই(নিঃ) মোঃ মামুন উর-রশিদ; এসআই(নিঃ) সুকান্ত দাশ; এসআই(নিঃ) এইচ এম শহিদুল ইসলাম; এসআই(নিঃ) বোধন চন্দ্র বিশ্বাস; এসআই(নিঃ) মোঃ হাসানুর রহমান; এসআই(নিঃ) মোঃ হাসানুর রহমান; এসআই(নিঃ) মোঃ রাকিবুল ইসলাম; এসআই(নিঃ) মোঃ রিকাবুল ইসলাম; সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই(নিঃ) মোঃ রুবেল মোহান্ত; এসআই(নিঃ) আশরাফুল আলম; এসআই(নিঃ) সুমন মন্ডল; এসআই(নিঃ) গোলাম মোস্তফা; এসআই(নিঃ) লাভলী রানী পাল; লবণচরা থানা এসআই(নিঃ) মোঃ মাসুম বিল্লাহ; এসআই(নিঃ) প্রদীপ বৈদ্য; হরিণটানা থানার এসআই(নিঃ) মোঃ মাসুম বিল্লাহ; এসআই(নিঃ) মোঃ ইউসুফ আলী হাওলাদার; খালিশপুর থানার এসআই(নিঃ) মোঃ রিয়াজ রহমান; এসআই(নিঃ) মোঃ আব্দুল হালিম; এসআই(নিঃ) সঞ্জিত কুমার মন্ডল; এসআই(নিঃ) মোঃরেজোওয়ান উজ্জামান; এসআই(নিঃ) রতন বিশ্বাস এসআই(নিঃ) রিপন দাস; দৌলতপুর থানার এসআই(নিঃ) মোঃ মিকাইল হোসেন; এসআই(নিঃ) মোঃ আসাদুজ্জামান মিন্টু; এসআই(নিঃ) মোঃ আমিরুল ইসলাম; আড়ংঘাটা থানার এসআই(নিঃ) মোঃ মিনহাজুল ইসলাম; এসআই(নিঃ) মোঃ লুৎফুল হায়দার; এসআই(নিঃ) মোঃ জাকিরুল ফিরোজ; খানজাহান আলী থানার এসআই(নিঃ) মোঃ ইসতিয়াক আহমেদ; এসআই(নিঃ) দোলা দে; এসআই(নিঃ) এস. এম রাজিবুল আলম; এসআই(নিঃ) বিপ্লব কান্তি দাস; সিটিএসবি এসআই(নিঃ) মুন্সী শফিকুল ইসলাম; ইএন্ডডি শাখার এসআই(নিঃ) শাহনেওয়াজ; গোয়েন্দা বিভাগ এসআই(নিঃ) মোঃ মইজুল ইসলাম ইমন; এসআই(নিঃ) মোঃ সিরাজুল ইসলাম; এসআই(নিঃ) মোঃ সেলিম হোসেন; এসআই(নিঃ) মোঃ আঃ হান্নান মোল্লা; এসআই(নিঃ) বিধান চন্দ্র রায়; এসআই(নিঃ) মোঃ খলিলুর রহমান; পিওএম বিভাগের এসআই(সঃ) ৪১৬৩ মোঃ নাজিম উদ্দীন; টিএসআই মোঃ আলমগীর হোসেন; টিএসআই মোঃ রিপন রানা; টিএসআই মোঃ মারুফুল ইসলাম বিশ্বাস; টিএসআই মোঃ ওবায়দুল হক; সার্জেন্ট সুকান্ত মল্লিক; সার্জেন্ট মোঃ রাশেদুল হাসান মন্ডল; দৌলতপুর থানার এএসআই(নিঃ) মোঃ রকিবুল হাসান; এএসআই(নিঃ) মোঃরফিকুল ইসলাম; এএসআই(নিঃ) মোঃ নাসির উদ্দিন; এসএএফ এসআই(সঃ) সরদার শাহিন হাসান বাষারি লজিস্টিকস্ এ্যান্ড সাপ্লাই শাখার এএসআই(নিঃ) আল আমিন তরফদার; খুলনা থানার এএসআই(নিঃ) পুলক কুমার কুন্ডু; এএসআই(নিঃ) আবু সুফিয়ান মোল্লা; খালিশপুর থানার এএসআই(নিঃ) মোঃ কামাল হোসেন; এএসআই(নিঃ) মোঃ মনিরুজ্জামান; এএসআই(নিঃ) লেলিন কুমার দাস; এসআই(নিঃ) মোঃ মিনারুল ইসলাম; দৌলতপুর থানার এএসআই(নিঃ) উদ্ধব দাস; এএসআই(নিঃ) মৃগাংক কুমার দাস; খানজাহান আলী থানার এএসআই (নিঃ) শরীফুল ইসলাম মোল্লা; এএসআই (নিঃ) মোঃ জিলার হোসেন; গোয়েন্দা বিভাগের এএসআই(নিঃ) বুলবুল বিশ্বাস; সিটিএসবি এএসআই(নিঃ) কাজী রফিকুল ইসলাম; প্রসিকিউশন বিভাগের এএসআই(নিঃ) মিলন কুমার মল্লিক; কেন্দ্রীয় রিজার্ভ অফিসের এএসআই(নিঃ) মোঃ আবুল বাশার; হরিণটানা থানার এএসআই(নিঃ) মোঃ নাসিম উদ্দিন; প্রসিকিউশন বিভাগের কনস্টেবল মোঃ শাহাবউদ্দিন; অপরাধ শাখা কনস্টেবল মোঃ ওমর ফারুক; কনস্টেবল মোঃ শাওন হোসেন; কেন্দ্রীয় রিজার্ভ অফিসের কনস্টেবল মোঃ কাওসার হোসেন; কনস্টেবল মোঃ মনিরুজ্জামান; কনস্টেবল মোঃ রাশিদুল ইসলাম; সিটিএসবি কনস্টেবল শাহ মোঃ শফিকুল ইসলাম; ইলেকট্রিশিয়ান কনস্টেবল এস এম মেহেদী হাসান; কনস্টেবল লিপন কুমার পাল; কনস্টেবল মোল্লা জয়নাল আবেদীন; আইসিটি শাখার কনস্টেবল কামরুজ্জামান জিকু; সদর বিভাগের কনস্টেবল শেখ শামীম; কেএমপি কন্ট্রোলের কনস্টেবল শহীদুল ইসলাম; কনস্টেবল মোঃ আমজাদ হোসেন; রেশন স্টোরের কনস্টেবল এম.এম আতাউর রহমান; কনস্টেবল মোঃ সেলিম মোল্লা; কেন্দ্রীয় অস্ত্রাগারের কনস্টেবল মোঃ নাফিজ আলিম; কনস্টেবল মোঃ সরোয়ার হোসেন; কেন্দ্রীয় পোষাক ভান্ডারের কনস্টেবল মোঃ মাসুদ রানা; নারী কনস্টেবল মনিকা খাতুন; এসএএফ কনস্টেবল মোঃ শফিকুল ইসলাম; কনস্টেবল মোঃ শাকিল আহম্মেদ; কনস্টেবল মোঃ মাহামুদুল হাসান; লাইনওআর নারী কনস্টেবল রিতা রানি দাস; রেশন সদর বিভাগের লস্কর মোঃ সালাউদ্দিন; স্টোর ওজনদার মোঃ রবিউল ইসলাম’দেরকে সরকারি দায়িত্ব সঠিকভাবে সম্পাদনের জন্য তাদেরকে ক্রেস্ট, নগদ অর্থ ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
আজকের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডএফ) সরদার রকিবুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল এবং অতিঃ দায়িত্বে ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মোছাঃ তাসলিমা খাতুন-সহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ, পুরস্কারপ্রাপ্ত অফিসারবৃন্দ ও ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।