খুলনা প্রতিনিধি:
খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানার সবুজবাগ এলাকায় স্বামীর উপর অভিমান করে তাওফিকা আক্তার (২২) নামে এক নারী আত্মহত্যা করেছেন।
আজ শুক্রবার (১১ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তাওফিকা আক্তার বাগেরহাট মোড়লগঞ্জের বানিয়াখালি গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত তাওফিকা আক্তারের পিতা এবি সেকেন্দার আলীর পালিত কন্যা। সেকেন্দার আলী ও তাসলিমা বেগমের কোন সন্তান না হওয়ায় ছোট থেকেই তাওফিকা আক্তারকে লালন পালনের দ্বায়িত্ব নেন এবং ৫ বছর আগে তাওফিকাকে বিয়ে দেন। বিয়ের কিছুদিন ভালো সময় কাটলেও প্রথম কন্যা সন্তান মুসফিকার(৪) জন্মের পর চাকুরি সুত্রে নিহতের স্বামী যশোরে (তানজিম উলুম মাদ্রাসা) থাকতেন এবং নিহত তাওফিকা স্বামীর অন্য নারীর সাথের প্রেম ও বিয়ের কথা শুনে পারিবারিক ভাবে সমস্যার সমাধানের কথা বলে এবং দুই পরিবার সেটার সমাধানও করে।
এরই মধ্যে নিহত তাওফিকা শশুরবাড়ি থেকে আজ শুক্রবার সকালে বাবার বাড়িতে স্বামীসহ বেড়াতে আসে এবং সেখানেই সে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
নিহতের পিতা সেকেন্দার আলী জানান, সামান্য ঘটনা নিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এখানে জামাইয়ের বিরুদ্ধে তার কোন অভিযোগ নেই। নিহতের খালু জানায়,জামাইয়ের কারনেই তাওফিকা আত্মহত্যা করেছে। তিনি বলেন, জামাইয়ের যশোরে দ্বিতীয় বিয়ের কথা শুনে পারিবারিকভাবে মিমাংসার পর তাওফিকা মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে, যার ফলে সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এস আই) গনেশ বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে সবুজবাগ এলাকার সেকেন্দার আলীর বসত বাড়িতে উপস্থিত হয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করি।