পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
গত দুই দিন ধরে ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা উত্তরের হিমপ্রবণ জেলা পঞ্চগড়। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দেওয়া তথ্যমতে তাপমাত্রা বাড়লেও কুয়াশার বরফ শিশির ও প্রবাহিত হিমেল হাওয়ার শীতে কাঁপছে উত্তরের এ জনপদ। দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় রাত হয়ে উঠছে বরফের মতো শীত।
বুধবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকাল ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে হিসেবে সকালের তাপমাত্রা বাড়লেও কুয়াশা ও হিমবাতাসের কারণে শীতের প্রকোপে পড়েছে এ উত্তরের জনপদ।
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে পুরো জেলা। শহর ও গ্রামের সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। শীতের কারণে প্রয়োজনের বাইরে অনেকে ঘরের বাইরে বের না হলেও নিম্নআয়ের কর্মজীবী মানুষগুলো জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছে।
কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, খুব কুয়াশা। কোচিংয়ে যাচ্ছি। রাতে ও সকালে পড়ালেখা করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে শীতের কারণে। দুই দিন ধরে কুয়াশা যেন জেঁকে বসেছে।
শীতের কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলার সদরসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে পয়োজনীয় পরামর্শসহ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলায় মাত্র ২ হাজার কম্বল বরাদ্দ পেয়েছেন। তা বিতরণ করা হয়েছে। এজন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও সমাজের বিত্তশালীদের শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বলেন, বুধবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
Publisher: voiceofnewjersey LLC, USA.
Editor: Masud Alam Chowdhury
© কপিরাইট ২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত