অনলাইন ডেস্ক:
কোন প্রতিষ্ঠানে কতজন শিক্ষক অনুপস্থিত, তা তদারকি করতে গভর্নিং বডি এবং স্থানীয় প্রশাসনকে গত ১৮ জুলাই নির্দেশ দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। এরপরই পরিদর্শনে গিয়ে সারা দেশের ৩৪ জন শিক্ষককে অনুমোদন ছাড়াই স্কুলে অনুপস্থিত পেয়েছে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
ফলে তাদের কারণ দর্শানোর (শোকজ) চিঠি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। বলেছে, আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে উপস্থিত না থাকার সুস্পষ্ট কারণ মাউশিতে পাঠাতে হবে।
মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হক হেনরী স্বাক্ষরিত ২০ জুলাইয়ের ওই চিঠি আজ রোববার (২৩ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়।
এর আগে, জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন করতে থাকে বেসরকারি শিক্ষকরা। তখন এমন চিঠি দেয়ায় আন্দোলনরত শিক্ষকরা মনে করেছিলেন, তাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতেই অধিদফতর থেকে এমন কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, জুন মাসে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেমের আওতায় মাধ্যমিকের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ৩৪ জন শিক্ষককে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে উপস্থিত না থাকার সুস্পষ্ট কারণ মাউশিতে পাঠাতে হবে।
এ বিষয়ে মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হক হেনরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যাদের শোকজ করা হয়েছে, তাদের অধিকাংশই দুই দিন বা তার বেশি সময় ধরে স্কুলে আসেন না। এটা সতর্কীকরণ নোটিশ। ভবিষ্যতে কেউ এমন করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।